• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাবি’র নারী হলে ‘অশালীন’ হৈচৈ!


প্রকাশিত: ৮:০৮ পিএম, ২৪ আগস্ট ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২৫ বার

ঢাবি প্রতিনিধি  :  সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি পরাকে ‘অশালীন’ আখ্যা দিয়ে হল কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিশ জারি করেনি বলে দাবি করেছেন salwer-gangi-www.jatirkhantha.com.bd.22ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট। প্রভোস্ট ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান বলেন, যে নোটিশটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেটি হল কর্তৃপক্ষের নোটিশ নয়। এটা কিভাবে হলো জানতে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।

সামাজিক মাধ্যমে ওই নোটিশ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার নোটিশ দিয়ে হল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল ছাত্রীকে জানানো যাচ্ছে যে, হলের কক্ষ, বারান্দা, বাথরুম ও ব্যক্তিগত এলাকা ব্যতিত অত্র অফিস এলাকায়/হল অফিসে কোন কাজের জন্য যথাযথ পোষাক পরিধান করতে হবে। হলের ভাবমূর্তি রক্ষা করবার দায়িত্ব সকলের।

বৃহস্পতিবারের নোটিশটি হল কর্তৃপক্ষের বলে নিশ্চিত করেছেন হলের প্রভোস্ট। ফেসবুকে বুধবার প্রকাশিত নোটিশ এবং বৃহস্পতিবারের নোটিশ, দুটোতেই নিচে লেখা হয়েছে আদেশক্রমে হল কর্তৃপক্ষ। দু’টি নোটিশেই ছিল না কোন সিল-স্বাক্ষর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট ড. সাবিতা বলেন, ‘এসব সাধারণ নোটিশে আমার স্বাক্ষর বা সিল দেয়া হয় না। হল কর্তৃপক্ষই লেখা হয়। সব হলেই এটা করা হয়।’

salwer-gangi-www.jatirkhantha.com.bd.00হল কর্তৃপক্ষ কেনো হঠাৎ ছাত্রীদের পোশাকে বিধিনিষেধ জারি করে নোটিশ টাঙিয়ে দিলো, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।তবে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কী সেটা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মেয়েদের হল, মেয়েদের কথাতো সংবাদ মাধ্যমে বলা সেন্সিটিভ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুফিয়া কামাল হলের এক ছাত্রী  জানান, ‘গতকাল হলের একজন ছাত্রী সালোয়ার-গেঞ্জি এবং ওড়না পরে প্রভোস্টের কক্ষের সামনে যায়। সেসময় প্রভোস্টের সঙ্গে ওই ছাত্রীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং ওই ছাত্রীর সিট বাতিল করা হবে বলে কড়া কথা শোনানো হয়।

কিন্তু এই বাকবিতণ্ডা এবং এরপর ফেসবুকে প্রকাশিত নোটিশটি নিয়ে কিছুই জানেন না হলটির আবাসিক শিক্ষকরা। ওই হলের আবাসিক শিক্ষক শাওন্তী হায়দার ও আফরোজা বুলবুল জানান, ফেসবুকে প্রকাশিত নোটিশ এবং আজকে দেখা নোটিশটি এক নয়।ছাত্রীদের হলের অভ্যন্তরে দিনের বেলা অথবা রাতের বেলা কখনোই অশালীন পোশাক (সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি) পরে ঘোরাফেরা অথবা হল অফিসে কাজের জন্য প্রবেশ করা যাবে না। অন্যথায় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য হল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।উপরের লেখাগুলো টাইপ করা একটি নোটিশের ছবি গতকাল সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

ওই নোটিশে সালোয়ার-গেঞ্জিকে অশালীন পোশাক লেখা এবং নিজেদের আবাসস্থলে সুবিধাজনক পোশাককে নিষিদ্ধ করায় সমালোচনায় সরব হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর দেয়া বিবৃতি-হল কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ বিবৃতি ও তদন্ত কমিটি নোটিশ বিষয়ক সমালোচনার জবাবে হল প্রভোস্ট স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে।

সেখানে লেখা হয়েছে: অত্র হলের মেয়েদের পোশাক পরিধান সংক্রান্ত একটি বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোটিশ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।উক্ত বিকৃত নোটিশটি হল কর্তৃপক্ষ কতৃক প্রদত্ত নয়। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।