‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ বিশ্বের রথি মহরথি’রা
স্টাফ রিপোর্টার : ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ বিশ্বের রথি মহরথি’রা-৯০টি সেশন, দুইশ দেশি বিদেশি কবি-সাহিত্যিক, প্রকাশক সব মিলিয়ে জমজমাট এক আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উৎসবের দ্বার উন্মোচন হলেও সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমি চত্বরে তিন দিনের এ উৎসবের উদ্বোধন করেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া আরবি সাহিত্যের অন্যতম কবি আদোনিস। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সায্, আহসান আকবর ও কাজী আনিস আহমেদ।
এবার দেশের বাইরে থেকে ৭৫ জন লেখক, গবেষক এবং চিন্তাবিদ অংশ নিচ্ছেন। আর বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন দেড় শতাধিক লেখক, গবেষক, শিক্ষক, পারফর্মার। এতে তাদের সঙ্গে মতের বিনিময় যেমন ঘটবে তেমনি উৎসবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। তারই অংশ হিসেবে থাকবে মেয়েদের লাঠি খেলা, কবি গান, মনিপুরী ঢোলসহ নানা আয়োজন।
এবারের উৎসবে উইলিয়াম ডালরিম্পল একটি সেশনে অংশ নিতে ঢাকা আসছেন। অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী টিলডা সুইন্টোন আসছেন লেখক বন্ধু জন বার্জারকে স্মরণ করতে। বিশ্বখ্যাত সাহিত্য ম্যাগাজিন গ্রান্টার সম্পাদক আসছেন তাদের পত্রিকার একটি মোড়ক উন্মোচন করতে। এছাড়াও, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত নবনীতা দেবসেন আসছেন তার সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করতে। উপন্যাসিক ডেভিড হেয়ার, বুকার জয়ী বেন ওক্রিসহ অসংখ্য ব্যক্তি আসছেন বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের সাহিত্যকর্ম তুলে ধরতে।
উৎসবে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন সেলিনা হোসেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শামসুজ্জামান খান, মঈনুল আহসান সাবের, আনোয়ারা সৈয়দ হক, আসাদ চৌধুরী, আনিসুল হক, আলী যাকেরসহ দেড় শতাধিক সাহিত্য ব্যক্তিত্ব থাকবেন।এছাড়াও, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও এসব দেশের বংশোদ্ভূত লেখকদের ইংরেজি ভাষায় লেখা বা অনুবাদ করা সাহিত্যের সম্মানজনক ডিএসসি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে লিট ফেস্ট প্রাঙ্গণে। বাংলাদেশে সাহিত্য জগতে স্বনামধন্য ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ লিট ফেস্টের প্রথম দিনে ঘোষণা করা হবে।
উৎসব পরিচালক সাদাফ সায্ বলেন, লিট ফেস্ট যেমন একদিকে বিশ্ব সাহিত্যের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করে দেওয়া তেমনি নিজেদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। তিনি জানান, এই উত্সব শুধু বড়দের জন্য নয়, শিশুদের জন্য রয়েছে নানা সেশন। শিশুদের স্বপ্ন দেখানোর একটি জায়গা তৈরির লক্ষ্যেই লিট ফেস্ট কাজ করে যাচ্ছে।
আহসান আকবর বলেন, বিদেশি লেখক ও প্রকাশকদের বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই সাহিত্য উত্সব।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় পুরো আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে যাত্রিক। এছাড়াও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন ও ব্রিটিশ কাউন্সিলও নানাভাবে উত্সব আয়োজনে সহযোগিতা করছে।