ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ একবারই
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে একবারই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়বার আর এ সুযোগ মিলবে না।
দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আজ সোমবার বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহউদ্দিন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। আজ আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, এমন ২৬ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়কসহ আটজন বিবাদীকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে বিবাদীরা রুলের জবাব দিলে এর ওপর শুনানি হয়।
গত ৮ জুলাই বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল খারিজ করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আজ আপিলের রায় দেওয়া হলো।
আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে চলতি বছর যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, শুধু তারাই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।গত বছর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণরা এ বছর আর ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী বছর ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এত দিন টানা দুবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। গত বছর এই সুযোগ সীমিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন শুধু ওই বছর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। অর্থাৎ, চলতি বছর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। এই সিদ্ধান্তের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি হলো, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকার ফলে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আসন শূন্য হয়ে যায়।