ঢাকা চট্টগ্রামে ৪৪৫ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে বিজিএমইএ
বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছর ৪৪৫টি তৈরি পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এর ফলে ২০০২ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যপদ হারালো ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৫৪ প্রতিষ্ঠান।
বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৪৪৫টি পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায় বিজিএমইএ। এতে বলা হয়, চলতি বছর ঢাকা অঞ্চলের ৩৪১ ও চট্টগ্রামের ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এর আগে ২০০২ সালে ৫০২টি, ২০১২ সালে ৫৮৬টি ও গত বছর ১০১টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ২০টি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই আবেদন করে সদস্যপদ বাতিলের জন্য।
বিজিএমইএর সংঘবিধি অনুসারে বার্ষিক চাঁদা সময়মতো পরিশোধ না করা, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সমিতির ধার্য করা চাঁদা না দেওয়া ও বিভিন্ন সময়ে কমপ্লায়েন্সের শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কারখানাগুলোর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিজিএমইএর সদস্য সংখ্যা ৫ হাজার ৮৭৬ থেকে কমে চার হাজার ২২২–এ দাঁড়াল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করে বিজিএমইএ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সংগঠনের সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘বাতিল করার আগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা একাধিকাবার নোটিশ দিয়েছি। যারা উৎপাদনে নাই এবং তিন বছর ধরে যারা চাঁদা দিচ্ছে না, তাদেরই সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।’
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকেরা গত বছরের রানা প্লাজা ধসের পর পরিদর্শন করে তিন হাজার ৪৯৮টি কারখানার অস্তিত্ব পান। এ ছাড়া বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট—অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এবং বুয়েট ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৬৭৯ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে। তার মানে বর্তমানে বিজিএমইএ তাদের সদস্য সংখ্যা যা বলছে বাস্তবে কারখানার সংখ্যা তার চেয়েও কম। সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত সংখ্যা এমনই হওয়ার কথা। শিগগিরই আরও কয়েক শ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করা হবে তিনি জানান ।