ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের গাড়ি কেলেংকারি তদন্তে গোয়েন্দারা
বিশেষ প্রতিনিধি : পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের তিক্ততা এখনো কাটেনি। এবার বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বলছে, কর ফাঁকির অভিযোগ এনে ঢাকায় বিশ্বব্যাংক অফিসের ১৬টি গাড়ির সন্ধান চাওয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা অফিসের তরফ থেকে গাড়িগুলোর সন্ধান চেয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এ গাড়িগুলো কোথায় আছে এবং কার নামে এগুলো ইস্যু করা হয়েছে। এসব তথ্য জানাতে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসকে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন বিভিন্ন সময় কর সুবিধার আওতায় যেসব গাড়ি বাংলাদেশে এনেছিলেন বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা, তার মধ্যে বিলাসবহুল গাড়িও ছিল। কিন্তু তারা বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার সময় বিধি না মেনে গাড়িগুলো অন্য ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড: মইনুল খান ধারণা করছেন, শুল্ক ফাঁকি ও ব্যক্তিগতভাবে লাভের উদ্দেশ্যে এ গাড়িগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত প্রায় দেড় মাস যাবৎ এই ১৬টি গাড়ির বিষয়ে তারা তদন্ত করেছেন। এ সময় গাড়ি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা আইনের ব্যত্যয় চিহ্নিত করেছেন বলে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তর দাবী করছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় কর সুবিধা নিয়ে বিদেশ থেকে আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা এবং তদন্ত অধিদপ্তর। এর আগে ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কর্মকর্তার গাড়ি জব্দ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের ৪০টি গাড়ি আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা।