• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকায় পাতাল রেল যেভাবে চলবে-


প্রকাশিত: ৯:৩১ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : মেট্রোরেল চালুর এক মাসের মাথায় শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ। পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। বৃহস্পতিবার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোরেলের লাইন-১ এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে। পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।এমআরটি লাইন-১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে মোট ১২টি স্টেশন থাকবে।

স্টেশনগুলো হচ্ছে বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক বা নর্দা, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আরেক অংশ হবে এলিভেটেড তথা উড়ালপথ। সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটারের এ অংশের নতুন বাজার ও যমুনা ফিউচার পার্ক বা নর্দা স্টেশন দুটি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মাণ হবে।

এ অংশে নতুন বাজার ও নর্দা স্টেশনসহ মোট নয়টি স্টেশন থাকবে। অন্য ৭টি স্টেশন হলো বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে ২৪ মিনিট সময় নেবে। ১২টি পাতাল স্টেশনে বিরতি ও সাতটি উড়াল স্টেশনে বিরতিসহ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে।

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলাবিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে। প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে। প্রকল্পটির জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডিএমটিসিএল। প্রকল্পটি ১২টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়িত হবে।