ঢাকায় টিভি উপস্থাপিকা-ছাত্রী ধর্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি টেলিভিশনের উপস্থাপিকা (২৩) ও পল্লবীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেন। এই তরুণী উপস্থাপিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ধর্ষকও অভিনয় পেশার সঙ্গে জড়িত। গত ২ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও তিনি গতকাল বুধবার রাতে কদমতলী থানায় অভিযোগ করেন।
ধর্ষণের ঘটনাটি গোপনে ভিডিও করে ধর্ষক উপস্থাপিকাকে নিয়মিত ব্লাকমেইল করে আসছিল। কদমতলী থানার ওসি ওয়াজেদ আলী জাতিরকন্ঠ কে জানান, উপস্থাপিকার অভিযোগ তারা পেয়েছেন। একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত অভিনেতা পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য থানার একটি টিম অভিযান শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন উপস্থাপিকা তার পূর্ব পরিচিত ওই অভিনেতার সঙ্গে শনির আখড়ার নূরপুর এলাকায় বোনের বাসায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন বাসায় বোন উপস্থিত ছিলেন না। এই সুযোগে ওই অভিনেতা তাকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে রাখে। পরে তরুণী উপস্থাপিকা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়।
তরুণী খোঁজ নিয়ে জানেন ওই অভিনেতা বিবাহিত। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিনেতা। এ নিয়ে ক’দিন ধরে তরুণীকে ব্লাকমেইল করে আসছিল ওই যুবক। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে গতকাল রাতে পুলিশের কাছে যান তরুণী। এর আগে গত ৪ জুলাই বনানীর ন্যাম ভিলেজের বাসায় ডেকে নিয়ে এক টিভি অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ব্যবসায়ীপুত্র বাহাউদ্দিন ইভান পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। এরপর জোর করে নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পল্লবীতে ধর্ষক শিক্ষক হাতেনাতে পাকরাও
ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. সুজন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার মর্নিং গ্লোরি স্কুলেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সুজন তিতুমীর কলেজের ছাত্র এবং ওই স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাদন ফকির জানান, স্কুলের মধ্যেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন সুজন। বিষয়টি এলাকার লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।