ঢাকায় আবারও ক্রিকেট জুয়া নিয়ে তোলপাড়-আশরাফুলের সঙ্গীদের মোটা অংকের লেনদেন
এস রহমান.ঢাকা:
আশরাফুলের ক্রিকেট জুয়ার সাজার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ক্রিকেট জুয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে ঢাকায়।ফেঁসে যাচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেটাররা।ঘটনা নায়ক দুই ক্রিকেটার জড়িত।এরা পরস্পরসহ আরো অনেককে নিয়ে লাভবান হয়ে জিতিয়ে দেয় রংপুরকে। এনিয়ে অভিযোগ করে খুলনা বলেছে, লেনদেন হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এনিয়ে তারা অডিও রেকর্ডও জমা দেয়। অডিও শুনে সবাই হতবাক।
চলতি বছরের ৯ থেকে ১২ মার্চ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)’র দুই ভেন্যুতে একই সঙ্গে চলছিল জাতীয় লীগের শেষ রাউন্ডের খেলা। তৃতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৪ রানের জয়ে ১২০ পয়েন্ট তুলে শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে ওঠে খুলনা বিভাগ। তবে বিকেএসপির অন্য ভেন্যুতে ম্যাচের চতুর্থ দিন রংপুর নাটকীয়ভাবে ১২০ রানে হারায় ঢাকা মেট্রোকে।
শুধু ম্যাচ জয় নয়, অবিশ্বাস্যভাবে চ্যাম্পিয়ান হতে নিজেদের অনুকূলে সব সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে রংপুর। ওই ম্যাচে বলিং-এ ৫, ব্যাটিং-এ ৩ আর জয়ের জন্য ১৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচের পুরো চব্বিশসহ ১২১ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মত জাতীয় লীগে শিরোপা জিতে তারা। সন্দেহের সূত্রতা এখান থেকেই।পরবর্তীতে এক পয়েন্টের জন্য শিরোপা বঞ্চিত খুলনা, রংপুর ও ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আনে।
অভিযোগের স্বপক্ষে ঢাকা মেট্রোর দুই কোচ মেহরাব হোসেন অপি আর হান্নান সরকারের অডিও বার্তা জমা দেয় বোর্ডের কাছে। কথোপকথনে বেরিয়ে আসে ম্যাচ ফিক্সিং এর নানা আলামত।ঢাকা মেট্রোর কোচ হান্নান সরকার সরকারি কোচ মেহরাব হোসের অপিকে ফোনে বলেন, আমি আমার টিমের পজিশন ঠিক রাখার জন্য তিন পয়েন্ট দিতে রাজি হইছি।
তবে ম্যাচ পাতানোয় যে সরাসরি জড়িত ক্রিকেটররা সেটিও নিশ্চিত হয় অডিও বার্তায়।অভিযুক্ত কিক্রেটারদের প্রায় বেশির ভাগই জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।হান্নান সরকার মেহরাব হোসেন অপিকে আরও বলেন, শামসুরে ড্রপ দিচ্ছি, রাজুরে ড্রপ দিচ্ছি কি এমনি? ক্ষমতা আছে বলেই তো দিছি। আমি বলছি তোমরা কি করবা কর, আমি থাকা অবস্থায় এগুলো কিছু হইতে পারবে না। হাতেগোনা চার/পাঁচটা ক্রিকেটার জড়িত। শামসু, মার্শাল, সানি, শরিফুল্লাহ এই চারজন।
পাতানো ম্যাচটি বন্ধে গণমাধ্যমকে পাশে পেতে চেয়েছিল ঢাকা মেট্রোর টিম ম্যানেজমেন্ট।যমুনা টেলিভিশনকে ও চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরকে পুরো বিষয়টি জানানোর পরামর্শ ছিল কোচ হান্নান সরকারের কথোপকথনে।হান্নান সরকার বলেন,‘মিডিয়া থাকলে এটা করতে পারবে না। মিডিয়াকে ফোন কর, নম্বর লাগলে আমার কাছ থেকে নাও। দিলু ভাইকে বল টোয়েন্টি ফোরের আর যমুনার রাকীবের নম্বর আছে, রাকীবকে একটা ফোন কর।
যমুনা টেভিশনের কাছে থাকা ৩৫ মিনিটের অডিও রেকর্ডের কথোপকথনে ম্যাচ পাতানোর অনেক ইস্যু পরিস্কার ছিল। যার দায় এড়াতে পারেন না অভিযুক্ত ম্যাচের ম্যাচ রেফরি শওকতুর রহমান চিনু।