ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট- বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা প্রধান উপদেষ্টা’র
স্টাফ রিপোর্টার : চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
হোর্তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি দল রয়েছে। ১৪-১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। পরে প্রতিনিধি দল নিয়ে বৈঠকে বসবেন ইউনূস-হোর্তা। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এদিন বিকেলে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল সফররত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওইদিন সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। একই দিন বিকেলে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য রাখবেন। এদিন তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।