ড্রোন হামলা’য় অল্পে রক্ষা ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট
ডেস্ক রিপোর্টার : রাজধানী কারাকাসে সেনাবাহিনীদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। হঠাৎবিস্ফোরণের আওয়াজে চমকে উঠলেন সবাই।প্রেসিডেন্ট যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তার ঠিক কয়েক হাত দূরেই বিস্ফোরণটা হয়।
বিকট আওয়াজে যে যে দিক পারলেন দৌড়লেন। সার দিয়ে দাঁড়ানো সেনাদেরও দেখা গেল এ দিক ও দিক সরে পড়তে। অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার চলছিল তখন। বিস্ফোরণের মুহূর্ত আর বিস্ফোরণের সময় প্রেসিডেন্ট মাদুরোর ভয়ার্ত মুখটাও ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়।
সঙ্গে সঙ্গে ভাষণ থামিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট।তাঁর যাতে তোনও রকম ক্ষতি না হয়, ছুটে চলে আসতে দেখা যায় দেহরক্ষীদের। গোটা ঘটনাতে স্তম্ভিত মাদুরো। কী ভাবে এমনটা সম্ভব হল? আর কী থেকে বিস্ফোরণটা হল? পরে জানা যায়, মাদুরো যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন সে সময় একটি বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন ওই অনুষ্ঠানের মাঝে ঢুকে পড়ে। সেটাই বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন বলে সে দেশের সরকারি সূত্রে খবর।
মাদুরো পরে এক বিবৃতি দিয়ে জানান, “আমাকে হত্যা করতেই তারা ষড়যন্ত্র করেছিল।” এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যদিও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তারা বলতে এখানে মাদুরো কাদের বোঝালেন? যদিও পরে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কলম্বিয়া, আমেরিকার কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ‘বিনিয়োগকারী’ এ কাজে জড়িত। মাদুরো বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই এই ঘটনার পিছনে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্টোসের হাত রয়েছে।” বিরোধী দলের দিকেও আঙুল তুলেছেন মাদুরোর অনুগামীরা।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট কলম্বিয়াকে এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুললেও, কলম্বিয়া কিন্তু মাদুরোর অভিযোগকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে। সে দেশের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “মাদুরোর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তেল রফতানিকারক বিশ্বের তাবড় দেশগুলির মধ্যে ভেনেজুয়েলা অন্যতম।
কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের জেরে সে দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু তার পরেও দেশের ক্ষমতায় থেকে গিয়েছেন মাদুরো। দেশের ক্রমাবনতির কারণে হাজার হাজার দেশবাসী দেশান্তরিত হচ্ছেন। ২০১৩-য় উগো চাভেসের পর ক্ষমতায় আসেন মাদুরো।