• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

ডোনারের পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে বাবা হচ্ছেন এক ব্যক্তি-নয় ঘন্টার অপারেশনে সাফল্য


প্রকাশিত: ১:৫৮ এএম, ১৩ জুন ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১০ বার

 

penis-enlargement-surgery-thailandঅনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার.ঢাকা:

 

গত বছরের ডিসেম্বরে পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময়কার ছবি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে।বিশ্বের প্রথম পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী ব্যক্তি বাবা হতে যাচ্ছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকান ওই পুরুষের পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।

আজ শুক্রবার তাঁর চিকিৎসক এ তথ্য জানান। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আজ এএফপির এক সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই ব্যক্তির চিকিৎসক আন্দ্রে ভ্যান ডার মারওয়ি আজ এএফপিকে বলেন, ২১ বছর বয়সী ওই পুরুষের বান্ধবী এখন অন্তঃসত্ত্বা। ভ্যান ডার মারওয়িই ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপারেশনটি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর সঙ্গিনী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে আমাকে জানানো হয়েছে। আর আমরা এটি ভেবে আনন্দিত যে, কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই তাঁর পুরুষাঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে। পাশাপাশি তাঁর বাচ্চা উৎপাদনেও কোনও সমস্যা দেখা যাচ্ছে না, যেহেতু তাঁর শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’

রীতি অনুযায়ী খতনা করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আফ্রিকান এ তরুনদের। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে।এর আগে ইউরোজিস্ট ভ্যান ডার মারওয়ি ওই ব্যক্তির দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই লোকের সেরে উঠতে কমপক্ষে দুই বছর লাগবে বলে তাঁরা ধারণা করেছিলেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর কেপটাউনের টাইগারবার্গ হাসপাতালে নয় ঘন্টার অপারেশনে ওই লোকের পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়।
বছর তিনেক আগে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী খতনা করার সময় দুর্ঘটনাবশত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিবাসী ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সেটি কেটে ফেলতে হয়। স্থানীয় এ রীতির কারণে প্রায়ই সেখানকার তরুণ ও পুরুষদের এ ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়।

ভ্যান ডার মারওয়ি বলেন, ওই ব্যক্তির অপারেশন করার পর থেকে অনেকেই তাঁর কাছে এ ধরনের অপারেশনের অনুরোধ নিয়ে এসেছেন। তবে তিনি সবাইকে চিকিৎসা দিতে পারেননি। বর্তমানে তাঁর হাতে এ ধরনের নয়জন রোগী আছেন। তবে পুরুষাঙ্গ দাতার (ডোনার) অভাবে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘এটি খুব সহজ কাজ নয়। তবে একটি সফল উদাহরণের কারণে এখন অনেকেই এ ধরনের চিকিৎসা নিতে এগিয়ে আসছেন।’