• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিসিসির জালিয়াত কানুনগো হাইকোর্টে সাইজ!


প্রকাশিত: ৮:৩৪ পিএম, ৯ অক্টোবর ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

Dhaka-City-corporation-tm20111105212234

  প্রিয়া রহমান.ঢাকা:
অবশেষে ডিসিসির জালিয়াতরা সাইজ হয়েছে হাইকোর্টে।তাদের জালিয়াতি ধরা পড়ার পর এক জালিয়াতের জামিন স্থগিত হয়েছে।সাইজ হয়েছে কানুনগো মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতির এক মামলায় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কানুনগো মোহাম্মদ আলীর জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা এ আদেশ দেন।

চলতি মাসের ১ তারিখ হাইকোর্ট মোহাম্মদ আলীসহ এই মামলার তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী ছাড়া অপর দুজনের জামিন আজ বহাল রেখেছেন আদালত। এই দুজন হলেন সিটি করপোরেশনের এস্টেট সার্ভেয়ার বাচ্চু মিয়া ও এস্টেট কর্মকর্তা মোহসীন উদ্দিন।

হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদনটি করে। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর আসামিপক্ষে ছিলেন শফিক আহমেদ ও শ ম রেজাউল করিম।

খুরশীদ আলম খান বলেন, মোহাম্মদ আলীর জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও অপর দুজনের জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার বিচারপতি।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির এ মামলায় মোহাম্মদ আলী সেজে (প্রক্সি) আত্মসমর্পণ করতে যান আলী আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর মোহাম্মদ আলী নিজেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকেও কারাগারে পাঠান।

আদালত সূত্র জানায়, ২৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলার তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিনের শুনানির সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আসামিদের কাছে তাঁদের পরিচয় জানতে চান।

বিচারক একপর্যায়ে জানতে চান, আসামি মোহাম্মদ আলী কে? জবাবে কাঠগড়ায় থাকা তিনজনের একজন নিজেকে মোহাম্মদ আলী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু আদালতের জেরার মুখে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, তিনি মোহাম্মদ আলী নন, আলী আহম্মেদ। এরপর আদালত বাচ্চু মিয়া ও মোহসীনের জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আর আসামি সেজে জামিন চাওয়ায় আলী আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। আদেশ শুনে আলী আহম্মেদ কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতকক্ষের একটি বেঞ্চে ঘণ্টা খানেক শুইয়ে রাখা হয়। সুস্থ হওয়ার পর বিকেলে তাঁকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আলী আহম্মেদের আসামি সাজার বিষয়টি ধরা পড়ার পর আসামি মোহাম্মদ আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে তাঁকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিসুর রহমান  বলেন, প্রক্সির ঘটনায় মূল আসামি মোহাম্মদ আলী ও আলী আহম্মেদকে আসামি করে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলায় ওই তিন আসামি গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আলী আহম্মেদও সিটি করপোরেশনের কানুনগো ছিলেন।

 

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ডিসিসির জায়গা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট দুদক শাহবাগ থানায় ওই তিনজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে। মামলার অপর পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন ডিসিসির সাবেক মেয়র বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা, সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেন ও ফারুক হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত সম্পত্তি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন শাবু এবং সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান।