ডিবিতে আর আয়নাঘর নয়
স্টাফ রিপোর্টার : ডিবি অফিসে আর কোনো আয়নাঘর বা ভাতের হোটেল থাকবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে থাকবে না আর কোনো আয়না ঘর। ডিবি অফিসের কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে পূর্ণপবিত্র-পরিষ্কার করা হবে, যেখানে মানুষ ন্যায় বিচার পাবে। থাকবে না কোনো ভাতের হোটেল।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেসে’ এ কথা বলেন তিনি।আলোচিত-সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ডিবি কার্যালয়। আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভাত খাইয়ে টাইমলাইনে আসে ডিবি অফিস। সঙ্গে ডিবি প্রধান হারুনও।
এসব ঘটনার পর ডিবি কার্যালয়কে অনেকে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ আবার অনেকে ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ বলে মন্তব্য করেন। তবে এসব মন্তব্য ডিবি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিল জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ কথাটি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে যান হারুন অর রশীদসহ পুলিশের অনেক বড় কর্মকর্তা। ক্ষমতার পালাবদল হলে পুলিশের বড় বড় পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের বড় বড় পদেও পরিবর্তন আনা হয়।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেসে’ ডিবি অফিসে ‘ভাতের হোটেল’ প্রসঙ্গটি উঠে আসে। এ সময় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ডিবি অফিসে আর নায়ক-নায়িকা ও সেলিব্রিটিদের আড্ডাখানা থাকবে না। এখানে আর কোনো আয়নাঘর বা ভাতের হোটেল থাকবে না।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কেউ গ্রেফতার হলে লুকোচুরি না করে সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের জানানো হবে। ডিবি পরিচয়ে তুলে আনার কলঙ্কিত অধ্যায়ও থাকবে না।
‘আসামি যেই হোক তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। গ্রেফতার আসামিদের নির্যাতন করা হবে না। ডিবি অফিসের নাম শুনলে আর কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়, আমাদের শুধু যেন অপরাধীরাই ভয় পায়। আমি যতো দিন ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করব ততদিন ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব ইনশাআল্লাহ।’- যোগ করেন রেজাউল করিম।
ডিবির কোনো সদস্য অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে ছাড় দেওয়া দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে ডিবিতে আর কোনো ঘুষখোর বা দুর্নীতিবাজ অফিসারের জায়গা হবে না।