• শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিজিএফআইতে গুমের ২২ সেল-আয়নাঘরের গোমর ফাঁস


প্রকাশিত: ১০:৪৭ পিএম, ৩ অক্টোবর ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০ বার

”কমিশন কাজ শুরুর পর গত ১৩ কার্যদিবসে তাদের কাছে মোট ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া কমিশন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) দোতলা ভবনটিতে ২২টি সেল খুঁজে পাওয়া গেছে।”

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলপূর্বক গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশন কাজ শুরুর পর গত ১৩ কার্যদিবসে তাদের কাছে মোট ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া কমিশন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) দোতলা ভবনটিতে ২২টি সেল খুঁজে পাওয়া গেছে। যেগুলোতে কাউকে বন্দি করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো।

তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের অভিযোগ আমরা আমলে নিয়েছি। আমরা অভিযুক্তদের তলব করব। তারা কমিশনে হাজির না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ অভিযোগই র‌্যাব, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, ডিজিএফআই ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর আয়নাঘর এবং ১ অক্টোবর ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে কোনও বন্দি খুঁজে পাইনি। কারণ আমাদের মনে হয় বন্দিদের সবাইকে গত ৫ আগস্টের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধানে এ কমিশন করা হয়।