ডিগবাজ, আদর্শহীন ও দলছুট নেতার বইয়ে বিএনপির কিছুই আসে যায় না: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা:
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের সদ্য প্রকাশিত একটি বইয়ের কঠোর সমালোচনা করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।রিজভী বলেন, ‘কাক সাতসমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে গেলেও কাকই থাকে। ডিগবাজ, আদর্শহীন ও দলছুট নেতার বইয়ে বিএনপির কিছুই আসে যায় না।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মওদুদের লেখা ‘বাংলাদেশ: ইমারজেন্সি এন্ড দ্য আফটারম্যাথ : ২০০৭-২০০৮’ বইয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের কারণ হিসেবে বিএনপি সরকারের অপশাসন, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, বিএনপি সরকারের কিছু মন্ত্রীর সম্পৃক্ততায় জঙ্গিবাদের উত্থান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নামে হাওয়া ভবনের ক্ষমতা, প্রভাব ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।
বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ বলেন, ‘মওদুদ আহমদ দলের জ্যেষ্ঠ নেতা। তাঁর এই বই সম্পর্কে আমি দলীয় বক্তব্য দিতে পারব না, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তাঁর বক্তব্য সঠিক নয়। চারদলীয় জোট সরকারের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক থাকলে তিনিও তো সে সময় মন্ত্রিসভায় ছিলেন। তাহলে তিনি কেন পদত্যাগ করলেন না।’
মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সর্ম্পকে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল মূলত মওদুদের বইকে ঘিরে। রিজভী বলেন, ‘মওদুদ আহমদের মতো একজন জ্যেষ্ঠ নেতা কাদের খুশি করার জন্য এই বই লিখেছেন তা আমার জানা নেই। তিনি অনেকদিন ধরে রাজনীতি করেন, তবে যখনই নিজের স্বার্থ আসে তখনই এ ধরনের কথা বলেন।’
বইয়ের এক জায়গায় মওদুদ লিখেছেন, ‘ওই সময় খালেদা একজন রাজনৈতিক নেতার চেয়ে বেশি একজন মা হয়ে উঠেছিলেন। ২০০৭-০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় খালেদা জিয়া শুধু তাঁর দুই ছেলের মুক্তি নিয়েই চিন্তা করেছেন।’
এ ব্যাপারে রিজভী বলেন, নিজের ছেলেদের প্রতি যদি খালেদা জিয়ার অনুকম্পা থাকতো তাহলে তিনি আগেই ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে দিতেন। খালেদা জিয়া ওয়ান ইলেভেন সরকারের কথা না শোনার কারণেই তাঁর ছেলেদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, তাঁরা এখনও খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, আবদুস সালাম, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।