ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনে চাপা ক্ষোভ- ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়
বিশেষ প্রতিনিধি : গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার একদিন পরও মার্কেটের ভেতর থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আজও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশাপাশি চলছে ভবনের ভেঙ্গে যাওয়া অংশের অপসারণ কাজ।
এদিকে, এক জরুরি বৈঠক শেষে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দুর্ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি দেয়া হবে। সেই সাথে মার্কেটের খোলা জায়গায় আজ রাত থেকেই কাঁচাবাজার শুরু হবে বলে জানান তিনি । ঘটনার কারণ উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া টাকা, পাসপোর্ট, বের করে আনছে হতভাগ্য মানুষগুলো। জীবন যাপনের একমাত্র অবলম্বন দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যাওয়ায় আহাজারিই এখন তাদের সম্বল।
ভাগ্য পুড়েছে গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের দেড় শতাধিক দোকান মালিকের। মার্কেট পুড়ে যাওয়ার প্রথম দিন অনেকেই প্রবেশ করতে পারেননি তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে অনেককেই দেখা গেছে তাদের দোকানের পুড়ে যাওয়া মালপত্র বের করতে।
বুধবারও মার্কেট এলাকায় দেখা যায় পুলিশের পাহাড়া। মার্কেটের ব্যবসায়ী ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বাইরের জনসাধারণকে। মার্কেটের ভেঙ্গে যাওয়া অংশের অপসারণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে, ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ ও করণীয় বিষয়ে বৈঠক করেছে দোকান মালিক সমিতি।
সোমবার মধ্য রাতে গুলশানের ডিএনসিসি মাকের্টের দ্বিতীয় তলায় সূত্রপাত ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডে ১ দিন চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। ততক্ষণে মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান পুড়ে যায়। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস।