• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ডাচ বাংলার ছিনতাইকৃত প্রায় ৭ কোটি এখনো উদ্ধার হয়নি


প্রকাশিত: ৫:৫৮ পিএম, ১০ মার্চ ২৩ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার : ছিনতাইকৃত ডাচ বাংলার প্রায় ৭ কোটি এখনো উদ্ধার হয়নি। টাকা উদ্ধার নিয়ে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম বলেন, তিন ট্রাংকের এক ট্রাংক খালি ছিল। বাকি দুই ট্রাংকে ছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় ভিকটিম কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। ট্রাংকের চাবিগুলো তাদের কাছেই ছিল। তারাই ট্রাংক তিনটি আনলক করেছেন।

রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় হোটেল লা মেরিডিয়ানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ৯ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার করেছি। বড় অংশই উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাংক খুলে মিলেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা।

গত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজনের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খুলে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম।গভীর রাতে শরীফুল বলেন, তিন ট্রাংকের এক ট্রাংক খালি ছিল। বাকি দুই ট্রাংকে ছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় ভিকটিম কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। ট্রাংকের চাবিগুলো তাদের কাছেই ছিল। তারাই ট্রাংক তিনটি আনলক করেছেন।

ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯ কোটির বেশি টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। গোনার পর টাকা এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার একটা ধারণার ওপরে টাকার অঙ্কটা বলেছিলেন। আমরা জানতাম চারটা ট্রাংক খোয়া গেছে। যেহেতু তিন ট্রাংক পাওয়া গেছে, তাই ১১ কোটি ২৫ লাখের চার ভাগের আনুমানিক তিন ভাগ হিসাব করে বলেছিলেন।

আমরা যখন গাড়িসহ উদ্ধার করেছি, তখন এটা লক ছিল। ট্রাংক কেউ হাত দিয়েও দেখেনি। পরে আমরা থানায় নিয়ে এসে ভিকটিমদের সামনে ট্রাংক আনলক করি। গাড়ির পেছনে যে ট্রাংক ছিল, ওই ট্রাংকের সাইড দিয়ে বাঁকা করে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে গেছে।কীভাবে বাঁকা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা ডাকাতি করেছেন, তারা বাঁকা করে টাকা নিয়ে গেছেন।

ডিবির প্রধান ব্রিফ করার আগে ট্রাংক গাড়ি থেকে বের করে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন কি না জানতে চাইলে শরীফুল বলেন, গাড়ি লক করাই ছিল। জনবহুল রোডের ওপরে গাড়িটা ছিল। স্যার ওই চিন্তাও করেন নাই দেখার। স্যার মনে করছেন যে, চারটা ট্রাংকের তিনটার টাকা উদ্ধার হয়েছে। ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা তো ট্রাংক খুলে টাকা গুনি নাই। অনুমান করে বলেছি, তবে টাকা কম হবে, আমরা যা বলেছিলাম তার থেকে।

এর আগে-রাজধানীর উত্তরায় বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকাবাহী একটি গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটা ওই ঘটনায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানান তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার।

তুরাগ থানার এক কর্মকর্তা জানান, উত্তরার দিয়াবাড়ীর ১৬ নম্বর সেক্টরে ব্রিজের কাছে একটি গাড়ি থেকে ট্রাংকভর্তি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। মাইক্রোবাসটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। তিনি জানান, ডাচ-বাংলার টাকা মানি প্ল্যান্ট সিকিউরিটি কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচজন কর্মী নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে কালো রঙের একটি হাই-এইস মাইক্রোবাসে ৮ থেকে ১০ অস্ত্রধারী টাকা বহন করা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।