ডাক্তারের অবহেলা-রাজশাহী ইসলামী ব্যাংকে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু-ভাংচুর
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উত্তেজনার জেরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন ওই নবজাতকের স্বজনেরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের নওদাপাড়ায় হাসপাতালটিতে এ ভাঙচুর চালানো হয়। তার আগে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।
জানা যায়, গত শনিবার রাত ১২টার দিকে নগরের আসাম কলোনি এলাকার নাজমুল হাসান টগরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জুলিয়া বেগমকে হাসপাতালের ৪০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জুলিয়াকে চিকিৎসক আবেদা বেগমের তত্বাবধানে দেয়। রাতেই চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মা ও তার পেটের সন্তান ভাল আছে বলে জানান।একইসঙ্গে ভোর ৬টার দিকে অপারেশনের (সিজার) সময় দেন। কিন্তু তিনি আর হাসপাতালে আসেননি। নয় ঘণ্টা পর রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে জুলিয়ার অপারেশন করা হয়।
টগরের অভিযোগ, সময়মত সিজার না করায় গর্ভে তার সন্তানের মৃত্যু হয়।এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই টগর-জুলিয়ার স্বজনরা ওই হাসপাতালে ছুটে আসেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আসে পুলিশও। পরে পুলিশ টগর-জুলিয়ার স্বজনদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিলে তারা ভাঙচুর চালায়। এ ব্যাপারে চিকিৎসক আবেদা বেগমের সহকারী সাবিনা জানান, ‘শাশুড়ীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ম্যাডাম কুষ্টিয়া চলে যান।
সকাল ৮টার দিকে ফোন করে ম্যাডামকে বিষয়টি জানান। ম্যাডাম বলেছেন, তিনি দু’দিন কোনো রোগী দেখতে পারবেন না বলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।জুলিয়ার চাচা ইমন শেখ জানান, নির্ধারিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে আরেকজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটি করেনি। তাদের অবহেলায় গর্ভের সন্তান মারা যায়। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, এটি দুর্ঘটনা। এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
শাহ মাখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, হাসপাতালের ভেতরে রোগীর স্বজনদের উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। সে সময় গেটের কাছে তারা জানালার কাচ ও টব ভাঙচুর করে। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।