ট্রেনে কাটা পড়তে গিয়ে যেভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার
এনডিটিভি অবলম্বনে প্রিয়া রহমান: ছোটবেলায় মুম্বাইয়ের কমিউটার ট্রেনে কাটা পড়তে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার কথা খোদ ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তিই জানালেন মুম্বাই রেলওয়ে পুলিশের এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ মুম্বাই কমিউটার ট্রেনে যাতায়াত করেন। কিন্তু অসচেতনতা, কয়েক গুণ বাড়তি যাত্রীর চাপে হুড়োহুড়ি আর ঝুলোঝুলি ট্রেনে চড়তে হয়, এ কারণে মুম্বাইয়ে প্রতিবছর মৃত্যুর শিকার হন অজস্র মানুষ। মৃত্যুহার কমাতে সম্প্রতি মুম্বাই রেল পুলিশ জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।
এরই অংশ হিসেবে পরশু মুম্বাই পুলিশের দপ্তরে গিয়ে বক্তব্য দেন টেন্ডুলকার। সেখানেই কৈশোরের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণা করেন, ‘আমি ১১ বছর বয়স থেকেই মুম্বাইয়ের কমিউটার ট্রেনে চড়তাম। ক্রিকেটের কিটব্যাগ নিয়ে এক ট্রেন থেকে অন্য ট্রেনে ধাক্কাধাক্কি করে ওঠার স্মৃতি আজও আমি বয়ে বেড়াই।
স্কুলে পড়ার সময় একবার সময় বাঁচাতে রেললাইন পেরিয়ে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়তে যাচ্ছিলাম আমরা।’ সেদিন সকালে অনুশীলন করে কয়েকজন মিলে টেন্ডুলকার গিয়েছিলেন এক বন্ধুর বাড়িতে।
সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে হলে ঢুকেছিলেন সিনেমা দেখতে। বাকিটা টেন্ডুলকারের মুখেই শুনুন, ‘সিনেমা দেখতে দেখতে বিকেলের অনুশীলনে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাড়াহুড়ো করে ট্রেন ধরার জন্য আমরা ঠিক করলাম রেললাইন পেরিয়ে দ্রুত অন্য প্ল্যাটফর্মে যাব। তখনই মুখোমুখি সেই বিপজ্জনক ঘটনার।
ওই মুহূর্তের কথা ভাবলে আজও গা শিউরে ওঠে। কোনোমতে দুই রেললাইনের মাঝের ফাঁকা জায়গায় হাঁটু গুঁজে উবু হয়ে নিজেদের বাঁচিয়েছিলাম আমরা।’