• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বেচা- কেনা সহজ ও দৃশ্যমান চালু


প্রকাশিত: ৪:৫৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি সিকিউরিটিজ-ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বেচাকেনা সহজ ও দৃশ্যমান করতে bbচালু করা হয়েছে অনলাইন সিস্টেম। এখন থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা শেয়ার বাজারের মতোই ট্রেজারি বিল ও বন্ড ক্রয় করতে পারবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে মার্কেট ইনফ্রাসট্রাকচার (এমআই) মডিউল এ পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের জন্য ওটিসি মার্কেট চালু রয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক টিডাব্লিউএস নামে একটি ট্রেডিং প্লাটফর্ম রয়েছে, যার মাধ্যমে অ্যাননিমাস ওর্ডার ম্যাচিং পদ্ধতিতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বেচাকেনা করা হয়। এই বেচাকেনাকে আরো সহজ ও দৃম্যমান করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরফলে শেয়ার বাজারের মতোই বিল ও বন্ডের দাম হাঁকা যাবে। কে কী দরে কিনছে তাও দেখা যাবে। https://gsom.bb.org.bd এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যাবে।

বাজেট ঘাটতি এবং উন্নয়ন ব্যয় মেটানোর জন্য ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিল এবং ২, ৫, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি বন্ড বিক্রয় করে সরকার।

ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, বিমা কোম্পানি, কর্পোরেট বডি, প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন ফান্ডসহ অনিবাসী ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিল ও বন্ড ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।

বর্তমানে দুই বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। ৫ বছরমেয়াদি বন্ডের সুদের হার ৫ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। ৬, ৭ ও ৮ বছরমেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৭ শতাংশ। ৯ বছরমেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৫ শতাংশ।

আর ১০ বছরমেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৫ দশমকি ৫০ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ২২ শতাংশ। ১৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৫ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ২০ বছরমেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৭ দশমিক ৬৫ থেকে ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। বন্ডের আয় থেকে ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এতদিন ক্রেতা-বিক্রেতা একে-অপরের প্রোফাইল দেখতে পেত না। এখন সবাই শেয়ার বাজারের মতোই বিল-বন্ডের চিত্র দেখতে পাবে। ক্রয়-বিক্রয় সহজতর করার জন্যই কেদ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে।