• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

টেস্টে ইতিহাসে ড্র’তে এগিয়ে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ৬:০৫ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯০ বার

test-1দিনা করিম:   ২০১৫-এ জয়ের হারে সবচেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ১৩ টেস্টে তারা জিতেছে ৭ টিতে। বাংলাদেশ অবশ্য সেখানে অনেক পিছিয়ে, ৫ টেস্টে জয় নেই একটিতেও। তবে একটি জায়গায় এগিয়ে বাংলাদেশই। এ বছর সবচেয়ে বেশি ‘ড্র’ করেছে মুশফিকুর রহিমের দল। ৫ টেস্টের চারটিতেই ড্র। বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি ড্র দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের। দুই দলের ড্র ৩টি করে।

১৫ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে মূলত ওয়ানডের কারণেই। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের এত সাফল্য, বাকি দুই সংস্করণের আলোচনা পাশে সরিয়েই রাখতে চাইবেন অনেকে। তবে টেস্টেও আছে বলার মতো গল্প।

যদিও ক্রিকেটের বড় দৈর্ঘ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস নিরন্তর হোঁচট খাওয়ার। কিন্তু এ বছর টেস্টের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে একটু ধাক্কাই খেতে হয়। অর্জনটা যে নেহাতই মন্দ নয়।
Bangladesh-cricket-team-www.jatirkhantha.com.bd
বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র একটি টেস্টে। ভারত-পাকিস্তানও হেরেছে একটি করে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে ৩ টি। ইংল্যান্ড হেরেছে ৬টি আর শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় ৭ টেস্টে।কেবল এ বছরই নয়, ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এ বছরই সবচেয়ে বেশি ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৩ সালে ৬ টেস্ট খেলে ড্র ছিল তিনটিতে। ২০০৪ সালে ৮ টেস্টের দুটিতে ড্র।

test-2এ বছর বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলেছে ২০১৫-এর এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায়। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের রেকর্ড জুটিতে খুলনা টেস্টে বাংলাদেশ পেয়েছিল জয় তুল্য এক ড্র। তবে বাকি তিন ড্রয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তিনটিতেই ছিল যে প্রকৃতির সহায়তা। জুনে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টের প্রায় তিন দিনই চলে গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে।

তবে জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দুই দিন বৃষ্টি খেয়ে না নিলে বাংলাদেশ জয়ের চেষ্টা করতেই পারত। তৃতীয় দিনে বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৭ রানে। দিন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা লিটন দাস স্পষ্টভাবেই জানিয়েছিলেন, ‘এখনো আমরাই এগিয়ে’।

ঢাকায় সিরিজের পরের টেস্টে বৃষ্টির তোড়ে, খেলাই হলো মোটে একদিন!বেশির ভাগ ড্রয়ে প্রকৃতির যত সহায়তাই থাকুক, পরিসংখ্যান-রেকর্ডে তো আর সে কথা লেখা থাকবে না। আসছে নতুন বছরে ক্রিকেটের বড় দৈর্ঘ্যে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী হতে পারে এ পরিসংখ্যান থেকেই।