• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টি টোয়েন্টি অগ্নি পরীক্ষায় টাইগাররা


প্রকাশিত: ৬:৫৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৪ বার

bangladesh-cricket-team-www.jatirkhantha.com.bdঅনলাইন ডেস্ক:   ২০১৫ সালটি ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। একের পর এক সিরিজ জয় বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৭ম স্থানে। কিন্তু ওয়ানডের এমন পারফরম্যান্স ফরম্যাট পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে বারবার। ফলে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে এখনো ১০ম স্থানেই আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আছে এমনকি আফগানিস্তানও। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট যেখানে ৬৯। সেখানে নয়ে থাকা আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৭৯, পার্থক্যটাও অনেক বড়।
তার চেয়েও অদ্ভুত ব্যাপার, রেটিং পয়েন্টে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ক্রিকেটের নবীনতম সদস্যগুলোর একটি পাপুয়া নিউগিনিও (৭০)! বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ না করতে পারায় এখনো র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়নি দেশটি। না হলে শীর্ষ দশ থেকেই যে বাদ পরে যেত বাংলাদেশ!
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটি যে এখনো ধাঁধাই হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য, র‍্যাঙ্কিংটাই তার প্রমাণ। এ বছরও পাঁচটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাসই দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বছরের শেষ ম্যাচটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরে গিয়ে প্রমাণ করে দিল, ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটের খেলাটি এখনো পুরো শেখা হয়নি।

টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানও প্রমাণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। ৪৬টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩টিতে জয়, ৩২টিতেই হার। স্কটল্যান্ড, হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও হংকংয়ের মতো দলের বিপক্ষেও হেরেছে বাংলাদেশ! হংকংয়ের বিপক্ষের হারের ক্ষত তো এখনো শুকোয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে প্রথম পর্ব পেরিয়ে মূলপর্বে যেতে হয়েছিল। দেশের মাটির সেই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান ও নেপালকে সহজেই হারিয়ে দেওয়ার পরই গন্ডগোলটা বাঁধাল বাংলাদেশ। হংকংয়ের মতো পুঁচকে এক দলের কাছে ২ উইকেটে হেরে বসল সাকিব-মুশফিকরা! মূলপর্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে করেছিল অসহায় আত্মসমর্পণ। এবারও মূলপর্বে যেতে পারলে এই চার দলের তিনটি অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
​তবে তার আগে বাছাই পর্ব তো পেরোতে হবে। ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা দলগুলোকে কাঁপিয়ে দিলেও আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ড, ওমানদের গ্রুপে পড়াটা নিয়েও দুশ্চিন্তা করতে পারেন আপনি।
অথচ টি-টোয়েন্টির শুরুতে ভাবা হয়েছিল, এটাই বাংলাদেশের খেলা। দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই মারকুটে। এমন খেলাই তো চাই। শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম চার ম্যাচেই জয় তিনটি। এর মধ্যে একটি জয় তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জোহানেসবার্গের সেই বিখ্যাত ম্যাচটিতে। যে জয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর থেকেই কেবল হতাশাই দিয়েছে টি-টোয়েন্টি। এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া জয়টির আগে কেবল দুটি পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ—ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি, এমন দল মাত্র তিনটি—কেনিয়া, আফগানিস্তান ও নেপাল। অন্য সব দলই বাংলাদেশের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়ে অন্তত একবার হলেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।