টি-টোয়েন্টির নয়া আফগান-বাদশাহ-শাহজাদ
এএফপি,ক্রিকইনফো অবলম্বনে এস রহমান: একেই বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি-। মাত্র ৬৭ বলে ১১৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের কোনো খেলোয়াড়েরই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন অসাধারণ ইনিংস নেই। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদের এই অসাধারণ কীর্তি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাতেও আফগানিস্তানকে বসিয়েছে বিজয়ীর আসনে।
টেস্ট খেলুড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন মাসের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এই সিরিজের আগে ওয়ানডে সিরিজ জিতেও টেস্ট খেলুড়ে দেশটিকে লজ্জায় ভাসিয়েছে আফগানরা। ক্রিকেট বিশ্বকে তারা আরও একবার জানান দিল নিজেদের রূপকথাসম উত্থানের গল্প।
শারজায় টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে কী ভুলটাই না করেছিলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ।
১১৮ রানের ওই দুর্দান্ত ইনিংসটি শাহজাদ খেলেছেন, ১০ চার আর ৮ ছয়ে। ৬৭ বলে সাজানো এই দ্রুতগতির সেঞ্চুরিটি আফগানিস্তানের সংগ্রহ নিয়ে যায় ২১৫-এ। শাহজাদের এই ইনিংসের পাশাপাশি আসগর স্টানিকজাইয়ের ১২ বলে ১৮, করিম সাদিকের ৫ বলে ১২, মোহাম্মদ নবীর ১২ বলে ২২ আর গুলবাদিন নাইবের ৬ বলে ১৩ রানের চারটি ছোট ছোট ইনিংসে আফগানদের সংগ্রহটা চলে যায় জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরেই।
ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৪৪ বলে ৬৩ আর পিটার মুরের ৩২ বলে ৩৫ রানের দুটো ইনিংস ছাড়া কার্যত জিম্বাবুয়ের ইনিংসে বলার মতোও কোনো স্কোর নেই। তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৩৪ রানেই। ৮১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এটাই কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সহযোগী দেশগুলোর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জেতার রেকর্ড।
আফগান বোলারদের মধ্যে দৌলত জাদরান, আমির হামজা আর সাঈদ শিরজাদ ২টি করে উইকেট নেন। মোহাম্মদ নবী আর রশিদ খান নিয়েছেন একটি করে। ম্যাচ শেষে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহজাদ জানিয়েছেন, ‘আমার কোনো পূর্ব-পরিকল্পনা ছিল না। আমি প্রতিটি বলই মেরে খেলতে চেয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে খেলতে এই দলের বোলারদের আমি চিনে গেছি।’
তাঁর আগে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে কেবল রিচি বেরিংটন টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলা বেরিংটনের ১০০ রানের ইনিংসটিকেই শুধু ছাড়িয়ে যাননি, শাহজাদের অপরাজিত ১১৮ টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।