টি২০ বিশ্বসেরা আলআমিন এর লাকি গ্রাউন্ড-ঝিনাইদহ সিটি কলেজ মাঠ
এস রহমান : ঝিনাইদহ সিটি কলেজ মাঠ হচ্ছে লাকি গ্রাউন্ড।এই মাঠে অনুশীলন করেই আমি আজ আলআমিন হয়েছি। এই মাঠের কারণেই আমি আজ টি২০ বিশ্বকাপের সেরা টপ টেন বোলারের একজন।
আল আমিন বলেন, ৮ উইকেট নিয়ে আজকের ফাইনালের আগ পর্যন্ত আমি ও মুস্তাফিজুর রহমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শীর্ষ ১০ বোলারের মধ্যে আছি। বোলার হিসেবে আল আমিনকে ভবিষ্যতের জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী করছে এই সাফল্য।
বিশ্বকাপ থেকে ফিরে এখন ছুটি কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। অনেকে দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অনেকে গেছেন বাড়িতে। আল আমিনও এখন ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ঠিক সামনেই বাড়ি। সেখানে থেকে দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে সিটি কলেজ মাঠ। বাড়িতে থাকলে দিনে অন্তত একবার এই মাঠে আসতেই হবে।
আল আমিন বলেন, এত ক্রিকেট খেলে, এত দেশ ঘুরেও এই মাঠের আকর্ষণ কমে না। ‘বাড়িতে থাকলে প্রতিদিন ওখানে একবার যেতেই হবে। না গিয়ে উপায় নেই। সবার সঙ্গে দেখা হয়, অনেকে ছবি তোলে…ভালোই লাগে আমার’। সিটি কলেজ মাঠ নিয়ে আল আমিন আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।
২০১৪’এর সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে আম্পায়ারদের সন্দেহের তালিকায় ছিলো আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন’ও। পরে চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দেন আল আমিন।সেখান থেকে বোলিং এ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করেন আলআমিন।কিন্তু সেখানকার ছাড়পত্র পেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার থিতু হতে অনেক সময় লেগে যায় আলি আমিনের।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর যাদের দেওয়া সাহস তাসকিনকে শক্ত রেখেছিল, আল আমিন তাদের একজন। তাসকিন নিজেও এর আগে তা বলেছেন। কাল আল আমিনও জানালেন, ‘আমি এক শ ভাগ নিশ্চিত ছিলাম তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা নেই।
তাকেও বারবার এটাই বলেছি। খোলা চোখে মনে হয় না অ্যাকশনে ত্রুটি আছে। পরীক্ষার পর নিশ্চয়ই সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে যেহেতু তাঁরও পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে, সে সম্পর্কেও তাসকিনকে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছিলেন আল আমিন