টার্গেট কিলিং-এক কিলো দাবড়ে জনতা ধরল খুনী ফয়জুল্লাহকে
মাদারীপুর থেকে বিশেষ প্রতিনিধি : টার্গেট কিলিং করতে এসে অবশেষে ধরা পড়ল এক খুনী । ঘাতক খুনী ফয়জুল্লাহকে এক কিলো দাবড়ে জনতা ধরে ফেলে। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, টার্গেট কিলিং এর সময় ঘটনা দেখে বসে না থেকে ঘাতকদের ধরার জন্যে।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে স্থানীয় জনতা এক কিলোমিটার ধাওয়া করে ধরে ফেলে ঘাতক ফয়জুল্লাহ।দেশের সাম্প্রতিক ‘টার্গেট কিলিংগুলোর’ মিশন বাস্তবায়ন করছিল দুর্বৃত্তদের তিনজনের একটি টিম। হত্যার পরই তারা চলে যেত ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে এসব তিনজনের টিমের একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলল জনতা।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে (৪০) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় পালনোর সময় প্রিন্স ফাইজুল্লাহ (২৫) নামের একজনকে আটক করে জনতা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রিপন চক্রবর্তী (৪০) বুধবার কলেজের পরীক্ষার কাজ শেষে কলেজের পেছনে সোবাহান মুন্সীর ভাড়া করা বাসায় চলে যান। ওই বাসায় তিনি একাই থাকেন এবং বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
বিকাল ৫টার দিকে তার বাসার দরজায় নক করে তিন যুবক। দরজায় নক করার শব্দ শুনে শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী দরজা খোলামাত্রই তিনজন দুর্বৃত্ত কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
রিপনের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে ডিসি ব্রিজ নামক স্থানে একটি ইজি বাইকে উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় কলেজের স্টাফ মিরাজ একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দুর্বৃত্ত নিজেকে প্রিন্স ফাইজুল্লাহ পরিচয় দিয়েছে। সে ঢাকার উত্তরার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা গোলাম ফাইজুল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। পরিবারসহ সে ঢাকার উত্তরাতে থাকে। গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক যুবকের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল, এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির, সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।