টাকা ধার নিয়ে দেন না আ’লীগ এমপি হারুন
কোর্ট রিপোর্টার : ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) বজলুল হক হারুনকে চেক জালিয়াতির মামলায় আগামী ৫ জুন তলব করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল বাদী হয়ে এক কোটি টাকার চেক প্রতারণার এ মামলা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ মামলাটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদী খলিলুর রহমান খলিল বলেন, এ নিয়ে আসামি বজলুল হক হারুনের বিরুদ্ধে তিনটি চেকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি এক কোটি চেক প্রতারণার মামলা। খলিল বলেন, ‘এমপি বজলুর রহমান হারুন একই আদালতে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির মামলা দায়ের করলেও আমি আদালত থেকে জামিন নিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এস এম শওকত হোসেন মিয়া আমার আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করছেন।’
বাদী জানান, প্রথম এক কোটি টাকার চেকের মামলাটি হাইকোর্টে স্থগিত করা আছে। পরেরটি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এমপি বজলুল হক হারুনের হাজিরার জন্য দিন ধার্য আছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাদী খলিলুর রহমানের কাছে বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার হিসেবে নেন।
এই ধারের টাকা আংশিক পরিশোধ করার জন্য এক কোটি টাকার চেক দেন বজলুল হক। এই চেকের টাকা রাজধানীর বনানীর যমুনা ব্যাংক শাখা থেকে তুলতে গেলে চেকটি ‘ডিজঅনার’ হয়। বাদী খলিলুর রহমান বিষয়টি বজলুল হককে জানালে তিনি টাকা না দিয়ে তাঁকে ঘোরাতে থাকেন। পরে আজ নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।