• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

টাকা ছিটিয়ে মামলা কিনে ফেলছেন নূর হোসেন


প্রকাশিত: ১০:২৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

জেলা প্রতিনিধি. নারায়নগঞ্জ  : এবার টাকা ছিটিয়ে মামলা কিনে ফেলছেন নূর হোসেন।এর ফলে 1আদালতের বাইরে মামলার আপোষরফা হয়ে যাচ্ছে।  নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে বাদী বলেছেন, এখন তার আর কোনো অভিযোগ নেই। চাঁদাবাজির মামলার ওই বাদী অটোরিকশা চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তার সঙ্গে আমার আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে।’2

বুধবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহারের আদালতে নূর হোসেনের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে অন্য এক মামলায় এসআই শওকত হোসেন নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। পরে আদালত আগামী ২৫ মে এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রশিকিউটর জাসমিন আহমেদ জাতিরকন্ঠকে জানান,দুটি অটোরিকশা আটক করে ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে অভিযোগ এনে সাত খুনের ঘটনার পর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন সাইদুল ইসলাম।

নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর এখন মামলাটি বিচারাধীন। কিন্তু এরইমধ্যে স্থানীয়ভাবে বাদী-বিবাদী আপস-মীমাংসা করেছেন, যে কারণে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাইদুলের কোনো অভিযোগ নেই বলে আদালতকে জানিয়েছেন।এছাড়া শিমড়াইলে নূর হোসেনের মাদক স্পট থেকে ২৯শ’ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের মামলায় বাদী পুলিশের এসআই শওকত হোসেন সাক্ষী দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ জুন অটোরিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মামলায় নূর হোসেন, তার ভাই নূর উদ্দিন, তাদের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করা হয়।

৩০ এপ্রিল বিকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়।