• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

টাকা চাওযায় তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্য


প্রকাশিত: ৩:১১ এএম, ৪ জানুয়ারী ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০১ বার

1জেলা প্রতিনিধি. ঝিনাইদহ :   ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হতভাগ্য এই শিশুরা হচ্ছে, আমিন হোসেন (৬) ও সিবলু হোসেন (১০) ও মাহিম হোসেন (১২)। আজ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ায় লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমদাদ হোসেনের ভাষ্য, পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমিন ও সিবলুর চাচা ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে কবিরপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ঘরে তাঁর দুই ছেলে আমিন, সিবলু ও ভাগনে মাহিম খেলা করছিল। হঠাৎ​ করেই ঘরে ভেতর ঢুকে দেলোয়ার হোসেনের ভাই ইকবাল হোসেন (৪০) তিন শিশুকেই মারধর শুরু করে। এ সময় ঘরের অন্য লোকজন পাশের বাড়িতে ছিলেন। একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস ছেড়ে আগুন জ্বেলে দিয়ে দরজা তালা বন্ধ করে দেন ইকবাল।

মুহূর্তের মধ্যে শিশুদের শরীরে আগুন লেগে যায়। আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের মধ্য থেকে আমিন ও সিবলুকে মৃত অবস্থায় এবং গুরুতর অবস্থায় মাহিমকে উদ্ধার করেন।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎ​সকেরা মাহিমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মাহিমও মারা যায়। মাহিম একই এলাকায় বিয়ে দেওয়া বোন (ইকবালের) জেসমিন ও ভগ্নিপতি রাশেদ আলীর ছেলে।

ইকবাল বিদেশে চাকরি করেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে তাঁদের দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরেই ইকবাল শিশুদের পুড়িয়ে হত্যা করেন বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। তাঁদের মতে, ঘটনাচক্রে শিশু মাহিমও এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।