• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

ম্যাচ সেরা এক টাইগার সাব্বিরের জয় জয়কার


প্রকাশিত: ২:৩৩ এএম, ১৮ জানুয়ারী ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

1আসমা খন্দকার :  সাব্বিরময় এক ম্যাচ দেখল বাংলাদেশ। যে ম্যাচে ব্যাটিং  ও বোলিংয়ে সর্বত্রই ছিল টাইগার সাব্বির এর চোখ ধাঁধাঁনো এক ইনিংস। দুই ওভারে দুই উইকেট। আবারও এক বল হাতে পেলেন একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে। সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমানের চোট ইনিংসের বাকি থাকা একটা বল করতো হলো তাঁকে।

2কিন্তু এবারও সাব্বিরময়-ওই এক বলেই নিয়ে নিলেন এক উইকেট! জিম্বাবুয়ে ততক্ষণে হেরে গেছে। বলটায় পাওয়ার বা হারানোর কিছু নেই। ‘সাব্বির রহমানের ম্যাচে’র শেষটা সাব্বিরের উইকেট দিয়েই হলো।২.১ ওভার বল করে ১১ রানে ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই প্রথম এক ম্যাচে একাধিক উইকেট পেলেন অলরাউন্ডার পরিচয় ভুলতে বসা সাব্বির। ম্যাচ সেরা হতে এটাই যথেষ্ট ছিল।

11 কিন্তু ম্যাচটা তাতে সাব্বিরময় হতো না। এর আগে ব্যাট হাতেও করেছেন ৪৩। ম্যাচে সর্বোচ্চ রান তাঁর, সবচেয়ে বেশি উইকেটও। এমন ম্যাচের শেষটা যেভাবে হলে সবচেয়ে ভালো হতো, সেভাবেই হলো। সাব্বির নিজের বলে নিজেই লুফে নিলেন ক্যাচ! ৪২ রানের সহজ জয় দিয়ে ২-০ করে ফেলল বাংলাদেশ।অথচ বাংলাদেশ শিবিরে ভীতি ছড়িয়েই শুরুটা করেছিল জিম্বাবুয়ে।

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর ভুসি সিবান্দা ৬.৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছিলেন ৫০ রান। বাংলাদেশি বোলাররা থামাতেই পারছিল না রানের চাকা। মাশরাফি বিন মুর্তজা সিবান্দাকে বোল্ড করে আরাধ্য ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছেন সপ্তম ওভারে। অথচ নিজের প্রথম আর ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন অধিনায়ক। ওই এক ওভারেই দুবার ক্যাচ পড়েছে তাঁর বোলিংয়ে।

তবে জিম্বাবুয়ের মেরুদণ্ড ভেঙেছে নবম, দশম ও একাদশ ওভারে টানা তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে। এর মধ্যে সাব্বিরই হেনেছেন জোড়া আঘাত। দুই ওপেনার আর পাঁচে নামা ম্যালকম ওয়ালার ছাড়া দুই অঙ্ক আর ছোঁয়াই হয়নি আর কোনো ব্যাটসম্যানের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ছক্কা হজম করাটা যে একদমই পছন্দ হয়নি মুস্তাফিজ সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আবার বোলিংয়ে ফিরে একই ওভারে দুজনকে বোল্ড করে দিয়ে।

একটি উইকেট পেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘৪০০’-র মাইলফলক ছোঁয়া হয়ে যেত সাকিব আল হাসানের। কিন্তু চার ওভার হাত ঘুরিয়েও সেই উইকেট পাননি। তবে এর আগে ব্যাটিংয়ে নিজের নতুন ভূমিকায় ১৭ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে ভূমিকা রেখেছেন।

সাব্বিরের পাশাপাশি ৪৩ করেছেন সৌম্য সরকারও, যেটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। তামিমের ২৭ আর মু​শফিকের ২৪ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের সংগ্রহ এনে দিতে।
শুরুতে চোখ রাঙানি দিলেও ইনিংসের শেষ বলে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের বিপদের বন্ধু হয়ে থাকলেও সেই বন্ধু আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরই মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে বহুগুণ!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৭/৩ (তামিম ২৩, সৌম্য ৪৩, সাব্বির ৪৩ *, মাহমুদউল্লাহ ১, মুশফিক ২৪ (আহত অবসর), সাকিব ২৭ *; ক্রেমার ১/২৯, মাসাকাদজা ১/৩২ মুজারাবানি ১/৩৫)
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৫/৮ (মাসাকাদজা ৩০, ওয়ালার ২৯, সিবান্দা ২১, মুর ৯, ক্রেমার ৮; সাব্বির ৩/১১, মুস্তাফিজুর ২/১৯, শুভাগত ১/১৮, আল আমিন ১/২১, মাশরাফি ১/২৫, সাকিব ০/২৬)
ফল: বাংলাদেশ ৪২ রানে জয়ী-ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাব্বির রহমান