টাইগাররা ধর্মশালায়-এবার ভারত কাঁপাবে মাহমুদউল্লাহ
আসমা থন্দকার : টাইগাররা ধর্মশালায়-এবার ভারত কাঁপাবে মাহমুদউল্লাহ । ধর্মশালা বিমানবন্দরে নেমেই মাশরাফিকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ সেলফি তুললেন। কাল রাতে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন। আজ সকালে ঢাকা থেকে ওড়ার আগে বিমানবন্দরেও সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মিনিট খানেকের জন্য।
ধর্মশালায় এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক তাই বেশি কিছু বললেন না। কাল রাতের ফাইনাল নিয়ে সেই একটাই কথা, ‘টস হেরে ম্যাচ হেরে গেলাম…।’ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দিল্লি পৌঁছে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে মাশরাফিদের নিয়ে স্পাইস জেটের ভাড়া করা বিমান ধর্মশালার উদ্দেশে ওড়ে বিকাল ৩টায়।
সাড়ে ৪টায় ধর্মশালা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন মাহমুদউল্লাহ। কেন হবেন না? এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্সই যে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল!
কিন্তু পারফরম্যান্সের সেই ধারা কি ধরে রাখা সম্ভব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে? এখানে আসার পর মাত্র একদিনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে বলেই প্রশ্নটা উঠছে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য আশাবাদী, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা।
এখানে অনুশীলন কম করলেও এশিয়া কাপে আমাদের ভালো ম্যাচ প্র্যাকটিস হয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে প্রথম পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেটাও কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি, ‘বছরের এই সময়ে এখানকার উইকেট ভালো হয় বলেই শুনেছি।
মূল পর্বের আগে তিনটি ম্যাচ খেলব বলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না।’৫০ ওভারের ক্রিকেটের সর্বশেষ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম তো বটেই, টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করেন পর পর দুটি।
এবারও এশিয়া কাপে ভালো খেলে যাওয়ায় তাঁর কাছে দলের প্রত্যাশা অনেক। সবচেয়ে বড় কথা টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা এখন যেন ফুল হয়ে ফুটছে তাঁর ব্যাটে! ব্যাটিংয়ের ধরন বদলে ফেলার রহস্যের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের অনুশীলনে আমি বিশেষ কিছু জিনিস করার চেষ্টা করেছি। সেগুলোরই ফল পাচ্ছি এখন। আর মানসিকভাবেও এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি।’
মাহমুদউল্লাহর আত্মবিশ্বাস আর মানসিক শক্তি থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’ হোটেলের অন্যরুমের বাসিন্দারাও। ধর্মশালায় বাংলাদেশ দলের ঠিকানা হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব এই পাঁচ তারকা হোটেলটাই।