• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

টাইগারদের লাস্ট বল..নতুন স্বপ্ন


প্রকাশিত: ২:৫৫ পিএম, ১৯ মার্চ ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার :  লাস্ট বল..অতঃপর সব শেষ টাইগারদের। লাস্ট বলের ভারটা যে কতো বেশী এবং কতো দুরন্ত গতি’র তা বুঝতে পারেননি সৌম্য! ফলে যা হবার তাই হয়েছে।  টাইগারদের জেতা ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। তবে টাইগাররা চ্যাম্পিয়ন হলে টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি হতো আত্মবিশ্বাস। নতুন দিনের আশা জাগাতো tiger-www.jatirkhantha.com.bd.1টাইগাররা।তবে সাকিবের মতে, নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে হতে হলোনা। এক বলের কারণে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়নি, তবে সেই প্রাপ্তি কমছে না। সাকিবের হাত ধরেই হয়তো বদলে যাবে বাংলাদেশ।

তাইতো হতাশাগ্রস্ত টাইগারদের পিঠ চাপড়ে দিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। তখন কারও চোখের কোনে চিকচিক করছে জল। সবার মুখে রাজ্যের অন্ধকার।  শেষ বলে ছক্কার পর সবার স্বপ্ন যেন চুরমার। আসেলই তাই..!মাঠে অনেকক্ষণ উবু হয়ে পড়ে থাকা সৌম্য  হতাশাময় হয়ে উঠে দারালেন। শেষটাই কি সব? শেষ বলের ছক্কায় শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছে তো এই টুর্নামেন্টই।ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে শেষ বল। বাংলাদেশ ও ট্রফির মাঝে ব্যবধান ছিল ওই শেষ বলই। সেটি পক্ষে আসেনি, ট্রফিও হাতে ওঠেনি। তাতে ফাইনালের বাকি সময়টুকু বাংলাদেশের লড়াই মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে না। রোমাঞ্চকর দুটি লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় মিলিয়ে যাচ্ছে না।

tiger-www.jatirkhantha.com.bdটি-টোয়েন্টিতে এর আগে ২০১৬ তে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা। তবে সেই সাফল্যের ছাপ ধরে এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ রয়ে ছিল তিমিরেই। সেই শঙ্কা এবারের সাফল্যের পরও আছে। তবে তার চেয়ে বেশি আছে সম্ভাবনা। এবার যে নিজেদের একটা দাগ রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ!এত দিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ছিল বাংলাদেশের হাহাকার। পাওয়ার হিটার নেই, ফিনিশার নেই, পেশি শক্তির ব্যাটসম্যান নেই, আরও অনেক নেই-নেই। এতদিন সেই আক্ষেপগুলোই ছিল অজুহাতের মতো। এই টুর্নামেন্ট দেখিয়েছে এত সব ঘাটতি পূরণের পথও আছে।

Hero mahamudullah-www.jatirkhantha.com.bdস্মার্ট ক্রিকেট। শক্তি নেই, কিন্তু বুদ্ধি আছে, স্কিল আছে। পরিস্থিতির দাবি বুঝে মাথা খাটানো ক্রিকেট। সবাই এক হয়ে বড় দুর্বলতা ঢেকে দেওয়ার ক্রিকেট। বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের মূল উপকরণ এসবই। টুর্নামেন্ট জুড়ে এই কথাগুলো তামিম ইকবাল বলেছেন। মাহমুদউল্লাহ বলেছেন। মুশফিকুর রহিম বলেছেন। বলেই থামেননি, করে দেখিয়েছেন। দেখিয়ে আবার বলেছেন।মুশফিক ২১৫ রান তাড়ায় ৩৫ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস তিনি খেলতে পারেন। মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে হতে পারেন ফিনিশার।

সবকিছুর বাইরেও, ভবিষ্যৎ সাফল্য-ব্যর্থতা না ভেবেও, টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ যে নিজেদের একটা ব্র্যান্ড উপহার দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে, এটিই এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে আশার জায়গা খুব একটা ছিল না। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন সংস্করণে হার, দলের ছন্নছাড়া শরীরী ভাষা, নিয়মিত কোচ না থাকা, নিয়মিত অধিনায়ককেও হারানো-এত বাস্তবতাকে ঠেলে বাংলাদেশ ফাইনালের মঞ্চে উঠেছে ।কিন্তু লাস্ট বলের ব্যর্থতায় সব শেষ হয়ে যায়নি..!