• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টাইগারদের বিড়াল হয়ে যাবার নেপথ্যে কে?


প্রকাশিত: ৬:২৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৪ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার  :  বাংলাদেশ তখন ১০৫/১ । রান দরকার মাত্র ২৫০। সেই বাংলাদেশ আজ ১৮৪ রানে শেষ কেন? টাইগারদের team_bangladesh-www-jatirkhantha-com-bdহঠাৎ বিড়াল হয়ে যাবার নেপথ্যে কে? তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।

যে দলটি গত দেড়-দুই বছরে জয়টাকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে,

সেই দলটিই আজ কীভাবে পাল্টে গেল?  কে এর নেপথ্যে এটাই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু সারাদেশে।  ২৫২ রানের লক্ষ্যে ২২.৫ ওভারে ১০৫/১ থেকে ১৮৪ রানে ‘শেষ’ হয়ে যাওয়া তো সেই পুরোনো বাংলাদেশকে হাতছানি দিয়ে  ডকে আনা। পেছনের দিনগুলিতে এই হাঁটার রহস্যই বা কি?

গত দুই বছরে বাংলাদেশ যে ব্যর্থ হয়নি, তা নয়। এই দুই বছরে বাংলাদেশ যে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে আসেনি—এমনটি বলাও সত্যের অপলাপ। এই তো গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তো নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছিল তারা।

মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর সেই ম্যাচটি নিশ্চয়ই ভোলার নয়। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে শেষ তিন বলে ৩ উইকেট হারিয়ে হেরে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতিও খুব টাটকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াটাও এ বছরেরই ঘটনা। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের ব্যাটিং, চোখের জন্যও যন্ত্রণাদায়ক!

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকার ওই ম্যাচ কিংবা বেঙ্গালুরুর সেই ম্যাচ—প্রতিপক্ষের ওপর অন্তত চড়ে বসা গিয়েছিল। কিন্তু নেলসনে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ, কেন???

নেলসনে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেই পুরোনো রোগটাই নতুন করে ফিরে এল। ব্যাটসম্যানদের উইকেটের মূল্য বুঝতে না পারা। দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে আউট হওয়া। পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী খেলতে না পারা। তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন—সবাই আজ এমন সব কাণ্ড করলেন, যেগুলোকে দায়িত্বশীল ক্রিকেট বলা যায় না কোনোভাবেই।

অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ অথবা মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচটির ব্যর্থতাকে হয়তো ‘দুর্ঘটনা’ বলে ঢেকেঢুকে রাখা গেছে, কিন্তু আজকের ম্যাচটিকে কী বলবেন মাশরাফিরা?

২০০২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানকে ২০২ রানে গুটিয়ে দিয়েও ৪৯ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। নিজ দেশ, নিজ দর্শকের সামনে মাত্র ২০২ রান তাড়া করতে পারেনি। ২০০৩ সালে কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেই হার আজও লজ্জায় ফেলে ক্রিকেটপ্রেমীদের। তারও আগে ১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়ার ২২৬ রানের জবাবে ১৯৮ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি সেই দিনগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে নতুন করে।

নিশ্চয়ই এর থেকে বেরিয়ে এসে আজকের ম্যাচটিকে ‘অঘটন’ প্রমাণ করবেন মাশরাফিরা। অবশ্য একটা ‘ভালো’ দিকও পাওয়া যাচ্ছে, সাফল্য পেতে পেতে অভ্যস্ত চোখগুলো মাশরাফিরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন—যতটা অনায়াসে এত এত সাফল্য ​এসেছে নিকট অতীতে, ব্যাপারটা অত সহজও কিন্তু নয়!