অনলাইন ডেস্ক:
টাইগারদের জেদের ফল জিতল বাংলাদেশ হারলো স্কটল্যান্ড। জেতার খিদেটা ছিলই। সেই সঙ্গে ছিল জিদ। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে এর আগে কখনোই আড়াই শর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। আর স্কটল্যান্ড কিনা বেঁধে দিল জয়ের জন্য ৩১৯ রানের লক্ষ্য! কিন্তু ওই যে, আগেই বলা হয়েছে, এক ধরনের জিদ কাজ করেছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে, ‘যদি স্কটল্যান্ড আমাদের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৩১৮ রান করতে পারে, তবে আমরা কেন তাদের বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩১৯ করতে পারব না!’ ব্যাপারটা জানা গেল সাকিব আল হাসানের ভাষ্য থেকেই।
ম্যাচের ঠিক পরপরই স্টার স্পোর্টসের একটি আয়োজনে এই কথাটিই বললেন দেশের সেরা এই অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল বাংলাদেশের জন্য। একই সঙ্গে তাঁর অভিমত, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের এই জয়টা বিশ্বকাপের শেষ আটে যেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবেই কাজ করবে।
তামিমকে রান পেতে দেখে অসম্ভব খুশি সাকিব, সেটা প্রকাশিত তাঁর কণ্ঠেই। তবে সেঞ্চুরিটা না পাওয়ায় একটু হতাশ সাকিব, ‘ব্যাট হাতে আমাদের একটি ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল। তামিম আজ সেই কাজটা খুব ভালোমতোই করেছে। তারপর রান পেয়েছেন রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ)। মুশফিকের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাব্বিরের ভূমিকাও ছিল অসাধারণ। সব মিলিয়ে আমাদের টপ অর্ডার আজ খুব ভালো করেছে।’
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সাকিবকে সঙ্গ দিয়েছেন সাব্বির রহমান। সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ রান। তবে আজকের ম্যাচে রান পেলেও অনেকের কাছেই নিষ্প্রভ ঠেকেছে সাকিবের ব্যাটিং। এ ব্যাপারে মুখ খুললেন তিনি নিজেও, ‘আমাদের মূলত বলে বলে রান দরকার ছিল। কাজেই শট খেলার চেয়েও আমার লক্ষ্য ছিল উইকেটটা আগলে রাখা। ফলে সাব্বির এবং মুশফিক স্বাচ্ছন্দ্যমতো খেলার সুযোগটা পেয়েছে।’ জয়সূচক রানটি অবশ্য এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকেই। একই সঙ্গে সাকিবের নামে যোগ হয়েছে আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি।
কথা বলেছেন দলে বাড়তি বোলার প্রসঙ্গেও। দলে অতিরিক্ত বোলার থাকাটা সুবিধাই মনে করছেন তিনি। বলেন, ‘এটা ঠিক যে বেশি বোলারের উপস্থিতির ফলে অনেক সময় অধিনায়ক একটু দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিন্তু একদিক থেকে এটার সুবিধাই বেশি। কেউ খারাপ করলে সহজেই তাঁর বিকল্প কাউকে বোলিংয়ে পাঠানো যায়।’
সাকিবের দৃষ্টি আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচটিতে। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং প্রতিটি বিভাগেই কিছুটা উন্নতির আশা করছেন তিনি। মাঝখানের বিরতিতে দল এগুলো নিয়ে কঠোর অনুশীলন করবে বলেই আভাস মিলল তাঁর কথায়। এটা ঠিক যে শুধু সাকিবই নন, পুরো বাংলাদেশই মুখিয়ে থাকবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জয়ের জন্য।