টক অব দ্যা কান্ট্রি ‘চট্টগ্রামের দয়াভান’ মঞ্জু!
চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ প্রতিনিধি : টক অব দ্যা কান্ট্রি এখন উত্তর চট্টগ্রামের আলোচিত আওয়ামী লীগ ও পরিবহন মালিক নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু। সারাদেশবাসী এখন তাঁকে এক নামে চিনছে। আওয়ামী লীগের কতিপয় বিতর্কিত হাইব্রিড নেতা তাঁকে ফাঁন্দে ফেলে ফায়দা লুটে দলকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হতে দেননি আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।তিনি পুলিশের সাহায্যে নিয়ে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে একজন অতিথিকে অফিসার্স ক্লাবে আনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাত ফসকে পিস্তলের গুলি বেরিয়ে যায়। এতে দলীয় সহকর্মী জয়নাল আবেদীনের বাঁ পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাপর্যায়ে তিনি পুলিশের সঙ্গে থানায় যান। এসময় তাকে নিয়ে শুরু হয় বিএনপি পন্থি নেতা জঙ্গি সার্পোটকারী ও হাইব্রিড নেতাদের কারসাজি। তখন তিনি পুলিশ ও নেতাদের সামনে আসল ঘটনাটি খুৃলে বলেন।
মঞ্জু বলেন, ‘ঝাপটা জাকির নামে একজনকে ক্লাবে নিয়ে এসেছিলেন জয়নাল। ক্লাবের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি বহিরাগত কাউকে আনতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরও ওই লোক কীভাবে এলো, তা সিকিউরিটির কাছে জানতে চাইলে জয়নাল আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। আমি গাড়ি থেকে আমার বৈধ পিস্তল নিয়ে আসি তাকে ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু অন্যরা তা কেড়ে নেয়ার সময় পিস্তল মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় বুলেট বের হয়ে জয়নালের পায়ে লাগে।
ঘটনার পর আমাকে থানায় যেতে বললে আমি থানায় যাই।’ তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। এজন্য আমি বিবেকের তাড়নায় দুঃখ প্রকাশ করেছি। তা ছাড়া জয়নালের ভাই একজন আওয়ামী লীগ নেতা। আমিও সরকারি দল করি। সে কারণে চট্টগ্রামের মেয়রসহ জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সমঝোতার উদ্যোগ নেন। আমিও সেই উদ্যোগে সাড়া দিই।’
ঘটনার সময় উত্তর চট্টগ্রামের আলোচিত আওয়ামী লীগ ও পরিবহন মালিক নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু’র আহবানে সাড়া দেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও আনোয়ারার সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি। এতে বোঝা যায় নেতা কর্মীদের কাছে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু’ বেশ জনপ্রিয়।
এর নেপথ্যে কারণ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঞ্জু আসলে দলের জন্যে নিবেদিত প্রাণ মানুষ। নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে তিনি সব সময় ছুটে যান। দলের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে তাঁদের অসুখ বিসুখে তিনি সাহায্য সহযোগীতা অব্যাহত রাখেন। তবে তিনি বিএনপিপন্থি নেতা হাইব্রিড নেতা ও জঙ্গি সমর্থকে নেতাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকেন। এর কারণেই তিনি স্বাধীনতা স্বপক্ষের কর্মীদের আনুকূল্য পান। উত্তর চট্টগ্রাবাসীর অনেকেই বলেন, ভারতের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দয়াভান’ এর মত চরিত্র মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু’র। ফলে মঞ্জু কোনসময় আটকান না। বিপদে পড়েও বেরিয়ে আসেন..।