ঝটিকা অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরখাস্ত
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে কর্মস্থলে না পেয়ে রেন্টু পুরকায়স্থ নামে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমনকি আরও যারা সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তাদের বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া রেন্টু পুরকায়স্থ জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা।বুধবার (৬ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কর্তৃক কার্যালয় পরিদর্শনকালীন অফিসে অননুমোদিত অনুপস্থিত থাকা এবং সরকারি কর্তব্যে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার জন্য রেন্টু পুরকায়স্থকে নির্দেশক্রমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেটের জৈন্তাপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। বিকালে সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অভিযানকালে মন্ত্রী জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড রুম, স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন। তিনি হাসপাতালে উপস্থিত ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
পরিদর্শনকালে জৈন্তাপুর কমপ্লেক্সে বেশকিছু অনিয়ম দেখতে পান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে কমপ্লেক্স চত্তরে সহজে দৃষ্টিযোগ্য স্থানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারের স্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করে উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এর কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দৃষ্টিযোগ্য স্থানে চিকিৎসকদের স্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন কীভাবে থাকতে পারে? প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বারের সঙ্গে এই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কারো স্বার্থ না থাকলে এটি হতে পারতো না।
মন্ত্রী বলেন, আমি কোনো মিডিয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে নেতিবাচক খবর দেখতে চাই না। স্বাস্থ্যকেন্দ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য। কাজেই মানুষ যেন সঠিক সেবা পায়, রোগীরা যেন অসম্মানিত না হয় সেটি সবাইকেই খেয়াল করতে হবে।এ সময় প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন সিলেট সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।