জয় দিয়ে ইতিহাস সৃষ্ঠি করতে চান কাটার জাদুকর মুস্তাফিজ
আসমা খন্দকার : আর মাত্র ৩০ মিনিট পর শুরু হবে মুস্তাফিজের জাদুর খেলা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (আইপিএল) প্রথমবারের মত শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
আজকের জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্ঠি করতে চান মুস্তাফিজ ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। একইভাবে জয়ের জন্যে মুখিয়ে আঝে বিরাট কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
আইপিএলের নবম আসরের ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হবে দল দু’টি। আগের আট আসরের কোনটিতেই শিরোপা জিততে পারেনি হায়দ্রাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরু। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে ফাইনাল। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বমী স্টেডিয়াম।
টুর্নামেন্টের পুরো আসর জুড়েই দাপট দেখিয়েছে মুস্তাফিজুরের হায়দ্রাবাদ। ফলে শেষ চারে জায়গা পেতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি তাদের। তৃতীয় দল হিসেবেই শেষ চারে জায়গা করে নেয় হায়দ্রাবাদ। ১৪ খেলায় ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তৃতীয় হয় তারা।
দলের এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পেছনে আসল ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ভারতের ভুবেনশ্বর কুমার ও বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। ১৬ ম্যাচে ৭৭৯ রান করে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওয়ার্নার। আর বোলার হিসেবে ভুবেনশ্বর ২৩ ও মুস্তাফিজুর ১৬ উইকেট নেন। এই তিন খেলোয়াড়ের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে প্রথমবারের ফাইনালে নাম লেখায় হায়দ্রাবাদ।
এলিমিনেটর ম্যাচে সাকিবের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে কোয়ালিফাইয়ার-২ এ নাম লেখায় হায়দ্রবাদ। ২২ রানে ম্যাচটি জিতে তারা। আর কোয়ালিফাইয়ার-২ ম্যাচে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পায় তারা। ৫৮ বলে ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে গুজরাটের বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ার-২ ম্যাচে খেলতে পারেননি মুস্তাফিজুর। তবে তার ইনজুরিটা খুব বেশি মারাত্মক কিছু নয় জানিয়েছিলেন ওয়ার্নার। ফাইনালে মুস্তাফিজুরকে খেলার ব্যাপারে আশাবাদি হায়দ্রাবাদ। ম্যাচ শুরুর আগে মুস্তাফিজুরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিবে হায়দ্রাবাদ। তবে যাই হোক, ফাইনাল বলে কথা। যেভাবেই হোক দলের অন্যতম সেরা তারকাকে ফাইনালে খেলানোর পরিকল্পনা হায়দ্রাবাদের।
হায়দ্রাবাদের মত দুর্দান্ত ফর্ম টুর্নামেন্টের শুরু থেকে প্রদর্শন করতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষদিকে এসে ঝলসে উঠে ব্যাঙ্গালুরু। আসলে ব্যাঙ্গালুরু বললে ভুলই হবে। দলকে একাই খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে শেষ চারে নিয়ে আসেন কোহলি। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন শেষ আট ম্যাচে। ৩টি সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি হাকাঁন কোহলি। তার এমন রাজকীয় ইনিংসগুলোর উপর ভর করেই পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থান পায় ব্যাঙ্গালুরু।
ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ার-১ এর ম্যাচ খেলে ব্যাঙ্গালুরু। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে ব্যাঙ্গালুরু। ৪৭ বলে ৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ডি ভিলিয়ার্স। ঐ ম্যাচে শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কোহলি।
তৃতীয়বারের মত ফাইনালে উঠলো ব্যাঙ্গালুরু। তাই এবার আর কোন ভুল না করে শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে ব্যাকুল হয়ে আছে দলটি। শিরোপা জয়ের জন্য ব্যাকুল হায়দ্রাবাদও। তাই ফাইনালটি যে জম্পেশ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লিগ পর্বে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিলো হায়দ্রাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরু। প্রথম দেখায় ব্যাঙ্গালুরু জিতেছিলো ৪৫ রানে। আর দ্বিতীয় দেখায় হায়দ্রাবাদ জয় পেয়েছিলো ১৫ রানে।