• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জোড়া খুন শ্রীপুরে-পুলিশ হেফাজতে স্বামী


প্রকাশিত: ৯:২৪ পিএম, ৭ জানুয়ারী ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

শ্রীপুর গাজীপুর থেকে মোস্তফা কামাল প্রধান: এবার ঘরের তালা ভেঙে মিলেছে মা ও শিশুর লাশ। নিহত গৃহবধূর নাম রুবিনা (২২)।রুবিনার একমাত্র সন্তান এর নাম জিহাদ (৬)। পুলিশ জানায়, তালাবদ্ধ নির্জন বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘরে খাটের ওপর মা ও শিশুসন্তানের নিথর দেহ লেপ দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মিলেছে। ঘরের পাশে পড়ে ছিল কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট। সন্দেহ করা হচ্ছে এ হত্যাকান্ডে কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। যারা ঘটনার আগে বিরিয়ানি খেয়েছিল। র্কূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরেই তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। আজ শনিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার বাড়ি থেকে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওই গৃহবধূর স্বামীর নাম ঝুমন (২৬)।ওর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের রঙিলা বাজার এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। রুবিনার বাবার নাম মো. সিরাজ মিয়া। রুবিনা বাবার বাড়িতে জমি কিনে ঘর তুলে থাকতেন।

রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, তিন দিন ধরে আমার মেয়ে রুবিনার বাড়ির মূল ফটকে তালা। তালাবদ্ধ করে কোথাও চলে গেছে ভেবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করি। কোনো সন্ধান না পেয়ে আমার বড় মেয়ে সেলিনাকে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে দেখতে বলি। আজ আমার বড় মেয়েসহ কয়েকজন মিলে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এরপর ঘরের তালা ভেঙে আমার মেয়ে রুবিনা ও নাতি রিয়াদের মরদেহ দেখতে পাই। রুবিনার বোন সেলিনা বলেন, কয়েকদিন আগে আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে তার স্বামী চলে যায়। দু’দিন পর রাতে বাড়িতে ফিরে আসে বলে জানিয়েছে আমার বোন। ধারণা করা হচ্ছে, আমার বোনকে তার স্বামীই হত্যা করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোসেন বলেন, নিহতের বাড়ি চারদিন ধরে তালাবদ্ধ, মা ও ছেলে নিখোঁজ ছিল। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে দেখা যায় ঘরও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। এরপর তালা ভেঙে ঢুকে দেখা যায় মেঝেতে পড়ে আছে দু’টি মরদেহ। শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আলী আসগর বলেন, মা–ছেলের মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এটি হত্যা বা আত্মহত্যা হতে পারে। মরদেহের পাশে খালি ও ইনটেক কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে রহস্য উদঘাটন করা হবে।

গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজমির হোসেন বলেন, নিহতের স্বামী ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনো অস্পষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মা ও শিশুর মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।