জেপি নেতা বাহাদুর খুন-লাশ মিলেছে রাস্তায়-
শেরে বাংলানগর প্রতিনিধি : এবার জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর কে খুন করে লাশ রাস্তায় ফেলে পালিয়েছে খুনীরা। রাজধানীর শ্যামলীর কলেজগেট এলাকার প্রধান সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ বলছে, একটি প্রাইভেটকার থেকে সালাম বাহাদুরের লাশটি সড়কে ফেলা হয়। লাশটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। পরে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ইতোমধ্যে গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, সালাম বাহাদুরকে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করে লাশ সড়কে ফেলে পালিয়ে গেছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য সালাম বাহাদুরের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সালাম বাহাদুর জেপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে। তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি পেশায় ঠিকাদার ছিলেন।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে একজন দোকানি জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে একটি লাল প্রাইভেট কার থেকে দুটি অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে লাশটি রাস্তার পাশে রেখে চলে যায় বলে অন্য দোকানদারদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন।
জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আব্দুস সালাম বাহাদুর আমাদের পার্টির অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারী করতেন। এরশাদ সাহেবের সময় সালাম জগন্নাথ কলেজে ছাত্র নেতা ছিলেন। পরে জেপি হওয়ার পর তিনি কিছুদিন দলের যুব সংগঠন যুব সংহতিতে ছিলেন। পরে মূল পার্টিতে যোগ দেন।