• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জেতার সম্ভাবনায় টাইগাররা অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট নাই


প্রকাশিত: ৯:০০ পিএম, ৩ আগস্ট ২১ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৩ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার : জেতার সম্ভাবনায় শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান। মেহেদীর পর আঘাত হানে নাসুম। সর্বশেষ সাকিবের শিকার ময়জেস হেনরিকস।এর আগে পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ তুলেছিল ৩৪ রান। অস্ট্রেলিয়া তুললো আরও কম। প্রথম ৬ ওভারে ২৮ রান তুলতে পেরেছে তারা। হারিয়েছে ৩ উইকেটও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যান ইনিংসের প্রথম বলে আউট হলেন, অ্যালেক্স ক্যারি বোল্ড হয়েছেন মেহেদী হাসানের বলে। জশ ফিলিপে স্টাম্পড হয়েছেন নাসুম আহমেদের বলে, প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি এই আউট হলেন তিনি।

এরপর ময়জেস হেনরিকেস হয়েছেন সাকিবের বলে বোল্ড। ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টি–টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া এর চেয়ে কম রানে প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছে শুধু একবার। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরেছিল অস্ট্রেলীয়রা। আজ ফল হবে কী?মেহেদী হাসান। নাসুম আহমেদ। সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তিন স্পিনারই আঘাত করলেন নিজেদের প্রথম ওভারে। সর্বশেষ সাকিবের শিকার ময়জেস হেনরিকস। সাকিবের ধীরগতির ফুললেংথের বলটা সুইপের চেষ্টা করেছিলেন হেনরিকস, ডানদিকে সরে গিয়ে। সফল হননি, হয়েছেন বোল্ড। ২.১ ওভারেই তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ফ্লাইট, সঙ্গে টার্ন- জশ ফিলিপের জন্য যথেষ্ট হলো সেটিই। নাসুম আহমেদের এক বল আগেই ছয় মেরেছিলেন, তবে ফিলিপে বাঁচলেন না আর। স্টাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষাই করেননি তিনি। ১০ বলের মাঝেই নেই অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেট!এর চেয়ে ভালো শুরু আর কিইবা চাইতে পারত বাংলাদেশ! প্রথম বলেই মেহেদী হাসান এনে দিলেন ব্রেক থ্রু। টার্ন করবে ভেবে খেলেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি, তবে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলের লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড।

ওদিকে মিচেল স্টার্কের টি-টোয়েন্টির ৫০তম শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে ২৩ রান করেছেন এই বাঁহাতি। এর মাঝে বাংলাদেশ আটকে গেছে ১৩১ রানেই।
স্টার্কের প্রথম ওভারেই ছয় মেরে শুরু করেছিলেন নাঈম, তবে সে ওভারেই পাঁচ বলের ডট যেন পুরো ইনিংসেরই চিত্র। বাংলাদেশ ঠিক গতিটাই ধরতে পারেনি এ উইকেটে। নাঈম বল খেলেছেন বেশী, সৌম্য সরকার শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আলগা শটে ফিরেছেন।মাহমুদউল্লাহও স্বস্তিতে ছিলেন না। সাকিব শুরু করেছিলেন, তবে গিয়ার বদলানোর আগেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। শেষদিকে নুরুল বা শামীমও ঝড় ধরনের কিছুই তুলতে পারেননি। আফিফ যা একটু চেষ্টা করেছিলেন। ইনিংস গড়ার কাজে গড়বড় করে বেশ কঠিন এক চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনোই এতো কম রানের সম্বল নিয়ে জেতেনি বাংলাদেশ।