• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জীবন বিপন্ন এমন অনেককেই সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছে:ওয়াকার


প্রকাশিত: ১১:০৯ পিএম, ১৩ আগস্ট ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি রাজশাহী থেকে : ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জীবন বিপন্ন হতে পারে এমন অনেককেই সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ট্রমা কাটিয়ে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে কাজে ফিরলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন সেনা সদস্যরা ব্যারাকে ফেরত যাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সেনানিবাসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছে কিনা–সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জীবন বিপন্ন হতে পারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এমন অনেককেই সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয়, সেক্ষেত্রে বিচারের আওতায় যাবেন, শাস্তি হবে। অবশ্যই আমরা চাইব না, তাদের সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হামলা বা কোনো কিছু ঘটুক। তারা যে মত, যে দলেরই হোক, জীবনের ওপর হুমকি থাকায় আমরা আশ্রয় দিয়েছি।’

রাষ্ট্র সংস্কারে সেনাবাহিনী সরকারকে সর্বোত্তম সহায়তা করবে জানিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সরকার কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চাচ্ছে। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে যে ধরনের সহায়তা সরকার আমাদের কাছে চাইবে, আমরা তা করব।

তিনি বলেন–সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার, বেসামরিক প্রশাসন সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ ট্রমার মধ্যে আছে। ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারলে তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। এ জন্য আমরা পুলিশকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ আছে কিনা– প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, ‘না, এ ধরনের কোনো চাপ নেই। তারা‌ সবাই দেখছে, এটি একটা বিশেষ পরিস্থিতি। সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। ২০ জেলায় ৩২টি সংখ্যালঘুবিষয়ক অরাজকতা হয়েছে। অবশ্যই একটিও কাম্য নয়। বিষয়টি আমরা দেখছি। অপরাধীদের আমরা অবশ্যই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর যা ঘটেছে, তা রাজশাহীতে একেবারেই নেই। এখানকার ৮ জেলায় এমন কিছু হয়নি। এটি অত্যন্ত ভালো দিক।’

এর আগে সেনাপ্রধান রাজশাহীতে কর্মরত সেনা সদস্যদের নানা দিকনির্দেশনা দেন। পরে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবির অধিনায়কসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।