জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাই না দিলে বাংলাদেশের খবর আছে
আইসিসি সূত্র থেকে প্রিয়া রহমান: আর মাত্র একদিন পর টাইগারদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ এর হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাই না দিলে বাংলাদেশের খবর আছে। প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে বিসিবি একাদশ হেরে য়াওযায় নানা শংকা তৈরী হয়েছে। প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে থাকলেও ওদের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই টাইগারদের। কারণ পা পিছলে গেলে ধপাস হয়ে পড়তে হবে বাংলাদেশকে।
৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের আগে এটা সতর্কবার্তা। জিম্বাবুয়ে এখন এমন এক প্রতিপক্ষ, যাদের বিপক্ষে জিতলে কেউ পিঠ চাপড়ে দেবে না। হারলে সইতে হবে সমালোচনা। একই সমীকরণ র্যাঙ্কিংয়েও। হারলে হারাতে বেশ কিছু পয়েন্ট, জিতলে প্রাপ্তি সামান্যই।
২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাওয়া র্যাঙ্কিংয়ের ওঠা-নামার হিসেব মাথায় নিয়েই খেলতে নামতে হবে বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচের এই সিরিজে প্রত্যাশিতভাবে তিন জয় পেলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বাড়বে কেবল ১। এই মুহূর্তে ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে সাত নম্বরে। ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে এক ধাপ নিচে পাকিস্তান, আরও এক পয়েন্ট কম নিয়ে ৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। র্যাঙ্কিংয়ে দশে থাকা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সব ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৭। অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না।
তবে হেরে গেলে ঝামেলা বাড়বে। কেবল একটি হার বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট নামিয়ে দেবে ৯৪-এ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলে সেটি হয়ে যাবে ৯১। আর অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটের চূড়ান্ত বিজ্ঞাপন হিসেবে জিম্বাবুয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটা জিতে যায়, তখন বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট নেমে যাবে ৮৮-তে।
ওদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-২ সমতা নিয়ে শেষ করতে পারলেই ৮৯ রেটিং নিয়ে তখন বাংলাদেশকে টপকে যাবে পাকিস্তান দল। অর্থাৎ সবকিছু যদি খারাপ দিকে যায়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেমে যাবে আটে।
এখনকার সূচি অনুযায়ী, আগামী বছরের অক্টোবরে আগে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। প্রায় এক বছর বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ খেলতে নামবে ইংল্যান্ডের মাটিতে। ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পেতে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটে থাকতে হবে। আটের মধ্যে না থাকলে বাছাই পর্ব খেলতে হবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। এক দিকে র্যাঙ্কিং, অন্য দিকে এফটিপিতে বাংলাদেশের সংকুচিত সুযোগ। চিন্তা বাড়ারই কথা।
তবে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখতেই পারেন। এবার তাই আশার বাণীও শুনুন। বাংলাদেশ যদি জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে, তাহলে হয়তো একটির বেশি রেটিং পয়েন্ট পাবে না। তবে বাংলাদেশের ওপরে থাকা ইংল্যান্ড আর নিচে থাকা পাকিস্তানই যখন মুখোমুখি হচ্ছে, এই দুই দলও তো পয়েন্ট হারাবে কিংবা পাবে। ইংলিশরা ৪-০ ব্যবধানে হেরে গেলে বাংলাদেশের লাভ। তখন জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাইয়ের সুফল হিসেবে বাংলাদেশ উঠে যাবে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে।