• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জামায়াত-মকবুল ধরা খাচ্ছে-ভিপিসহ হিন্দুপাড়ায় ১০ খুনের তদন্ত শুরু


প্রকাশিত: ১:৪১ পিএম, ৮ নভেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৪ বার

সাইফুল বারী মাসুম  :  জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ভিপি ওয়াজউদ্দিনসহ হিন্দুপাড়ায় 23১০ খুনের তদন্ত করছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।আজ মঙ্গলবার থেকে এই অনুসন্ধান শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।

এর আগে সোমবার জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের ‘যুদ্ধাপরাধের তথ্য অনুসন্ধানে’ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল ফেনী পৌঁছে।আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল ঢাকা থেকে ফেনী গিয়ে মকবুলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করছে।

jamat-mokbul-www-jatirkhantha-com-bdসূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়, জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধানে ফেনী সার্কিট হাউজে বসেকা করছেন নুরুল ইসলাম।ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে তদন্ত দল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে।

তদন্ত দল জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মকবুল আহমাদের নির্দেশে হিন্দুপাড়ায় আগুন দিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনাস্থল ও একই এলাকার খুশিপুর গ্রামের আহসানউল্লাহ নামে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়াও শহীদদের পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বলেন, ‘মকবুল আহমাদের নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। একইভাবে জেলার সর্বত্র মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

দাগনভূঁঞা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়ত উল্যাহ বাঙ্গালি এই তদন্ত দলের এই অনুসন্ধানের যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেরিতে হলেও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করায় ট্রাইব্যুনাল ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, ‘মকবুল আহমাদের নির্দেশে রাজাকার মোশাররফ হোসেন মশা দাগনভূঁঞা উপজেলার খুশিপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ নামে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। রাজাকার মশা এখনও জীবিত আছে। তার বাড়ি একই উপজেলার সাফুয়া গ্রামে।’ এছাড়া মকবুলের নির্দেশেই দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ায় আগুন দিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা হয়। এসব পরিবারের স্বজনেরা এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষি হয়ে আছে বলেও জানান তিনি।