• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জামায়াত কি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী দিচ্ছে!!


প্রকাশিত: ১২:১৪ এএম, ১২ নভেম্বর ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : এবার আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হচ্ছে! অবস্থাটা এমনই? দেখা গেছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী প্রতীকের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চট্টগ্রামে তিন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম ও বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম।

এদের মধ্যে কারান্তরীণ শাহজাহান ও শামসুল চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। শাহজাহান ২০০১ সালে এবং শামসুল ইসলাম ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর জহিরুল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ২০০১ ও ২০০৮ সালে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৩ সালে হাই কোর্টের এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ধর্মভিত্তিক দলটিকে নির্বাচনের ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়। গত মাসে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

গত মাসে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। ফলে দলটি তার নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। জামায়াতে ইসলামীও ধানের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে না কি দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তার মধ্যেই রোববার চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুললেন জামায়াতের তিন নেতা।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। এর আগে শুক্র ও শনিবার কেউ মনোনয়নপত্র নেননি।এদিকে বিএনপিরন সঙ্গে থাকা আটটি শরিক দল বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছে। দলগুলো হলো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি, নিবন্ধন নম্বর-৭), লিবারেল

ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি, নিবন্ধন নম্বর -১), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি, নিবন্ধন নম্বর-১৮), খেলাফত মজলিস (নিবন্ধন নম্বর-৩৮), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা, নিবন্ধন নম্বর-৩৬), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (নিবন্ধন নম্বর-৩১), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (নিবন্ধন নম্বর-৪০) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর-২৩)। বিএনপির মহাসচিব জানান, চূড়ান্ত মনোনয়ন সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনে যৌথভাবে মনোনিত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের জন্য লিখিতভাবে জানানো হবে।