জামায়াতের আজহারের খেল খতম-আজ যুদ্ধাপরাধ রায়
লাবণ্য চৌধুরী.ঢাকা:
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার রায়।চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে সোমবার আদেশের মাধ্যমে জানান।
রায়ের জন্য আজহারের মামলাটি কার্যতালিকায় আসার পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষে আজহারের বিরুদ্ধে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে মামলাটি সিএভিতে রেখে দেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামীর পক্ষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন আজহারের আইনজীবী। এর আগে ১৮ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে সর্বমোট ১৯ জন সাক্ষী প্রসিকিউশনে তাদের জবানবন্দী পেশ করেন।একই বছরের ১২ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ সব অভিযোগের তদন্তকালে ৬০ জনেরও বেশী ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা (আইও) এস এম ইদ্রিস আলী।প্রসিকিউশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি আজহারকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। মোট ৪টি ভলিউমে ৩০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৪ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের ৯ ধরনের অভিযোগে তদন্ত শেষ করে তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশন বরাবর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে।
রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে গণহত্যা, ৪ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও ১৩ জনকে নির্যাতন করা এবং শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে এই আসামী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়।মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারের নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেফতার করে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রসিকিউশন তাকে গ্রেফতারের আবেদন করে।