জামায়াতি-চাকরী গেল ইসলামী ব্যাংকের ২ কর্তার
বিশেষ প্রতিনিধি : অভিযোগ ওরা জামায়াতি- তাই চাকরী গেল ইসলামী ব্যাংকের ২ কর্তার। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তনের পর শীর্ষ ২ কর্মকর্তা—এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) এন আই খান ও কবির হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার তাদের দুইজনকে ফোনে বলা হয় তারা যেন, সোমবার থেকে ব্যাংকে না আসেন। অবশ্য এই দুইজন ছিলেন ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত। মূলত এর পরই সেমাবার ব্যাংকজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বেশ কয়েকটি পদে হঠাৎ করে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের আরো বেশ কয়েকটি পদে বড় ধরনের রদবদল হবে। রদবদলের তালিকা চূড়ান্ত করে ইতিমধ্যে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি আকারে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে নতুন ৮ জন ডিএমডির নাম প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া মধ্যম পর্যায়েও রদবদল কিংবা অপসারণ হতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জামায়াতমুক্ত করতেই ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক তার আগের নিয়মেই চলবে।
এদিকে গত রোববার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেছেন, এই ব্যাংকে যারা নিচের পদে কর্মরত রয়েছেন তাদের কারো চাকরি যাবে না। এছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া কারো চাকরি যাবে না। তার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অপসারণ করা হয়। এছাড়া আরো একজন ডিএমডিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় তিনিও অপসারিত হতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ইভিপি লেভেলের ওই দুই কর্মকর্তা চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে ছিলেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাদের ব্যাংকে আসতে নিষেধ করা হয়।
সোমবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকারদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। অনেকেই বলছেন, শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল মানে নিম্নস্তরের জন্য এক হুঁশিয়ারি বার্তা।
একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইসলামী ব্যাংকে কেবল জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীরা কর্মরত-এমন ধারণা সঠিক নয়। এর বাইরেও বড় একটা অংশ রয়েছে। ব্যাংকটির নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আরবীতে পাশ করা বাধ্যতামূলক।