• শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

জলঢাকার রাজনীতিতে আ’লীগে দন্ধ, জাপায় গ্র“পিং,বিএনপির অস্তিত্ব সংকট


প্রকাশিত: ৭:৩৮ পিএম, ১০ মার্চ ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২০ বার

jaldhakaহাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান,জলঢাকা (নীলফামারী):

নীলফামারীর জলঢাকায় ১০ম জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের দন্ধ চরমে,জাপার ৩বুলুর গ্র“পিং,বিএনপি  পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে,জামায়াত শক্ত অবস্থানে।এই চিত্র  উপজেলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।সূত্র জানায়, জানাযায়, গত ১০ম জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আওয়ামীলীগের দলীয় অন্তর্কোন্দল চরম আকার ধারন করেছে ।

দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের সন্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীরা নিস্ক্রিয় থাকার কারনে সৃস্টি হয়েছে বেহাল অবস্থার । কোন কোন নেতার মনোনয়ন না পাওয়ার বেদনা, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের বেদনা,সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার বেদনা, একে অপরের প্রতি াবশ্বাস,অবিশ্বাস এর মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আ”লীগের  মধ্যে দন্ধ।অন্যদিকে আওয়ামীলীগের সন্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীরা নিস্ক্রিয় থাকার কারনে কোন্দলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রথম সারির নেতারা আত্মগোপনে থেকে নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে নিয়মিত দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।

তাই জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বারের মতো বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামীলীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে জলঢাকার মা,মাটি ও গণ-মানুষের নেতা উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও  প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা নির্বাচিত হওয়ার পর পালের হাওয়া কোন দিকে যায় এটাই এখন দেখার বিষয় ? সকলে আশা প্রকাশ করেন নতুন সাংসদ দলের ঐক্যকে ধরে  রেখে আগামী দিনে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা  ও সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগের কয়েকজন তৃনমূল নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন পর আওয়ামীলীগের দলীয় সংসদ সদস্য পাওয়ার পর বর্তমান দলীয় এমপি তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠ সমুহের সাথে সমন্বয় না করে স্বজন প্রীতি ও দূর্নিতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ সহ নিয়োগ বান্যিজ্যও ভাগভাটোয়ারা সহ জামায়াত নেতা কর্মীদের এবং বিভিন্ন মামলার আসামীদের চাকুরী সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করার কারনে ক্ষোভ-হতাশার মধ্য থেকে অন্তর্দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে । তা দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আমলেই নিচ্ছেন না।

তৃনমূল নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই কোন্দলের কারনে উপজেলার, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা নিজেদের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছেন। তাই এই সব সমস্যার সমাধান করে সন্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তি শালী ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে এবং আগামী দিনে যাতে আ’লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে এলাকার উন্নয়নের সার্থ্বে কাজ করতে হবে। জানাযায়, আ’লীগ সহ সহযোগী সংগঠন সমুহের দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সম্মেলন না হওয়ায় সংগঠনের বেহাল অবস্থার সৃস্টি হয়েছে।দীর্ঘ দুই যুগ আগে সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া উপজেলা আ’লীগের মেয়াদ উত্তীর্ন কার্যনির্বাহী কমিটির অনেক নেতা মৃত্যু বরন করেছেন ও অনেকে অসুস্থ্য অবস্থায় আছেন। এবং উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গত সংসদ ও উপজেলা নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সংগঠনের কার্যক্রম থেকে দুরে রয়েছেন। এবং অনেক নেতা নিরব ভুমিকা পালন করছেন।

jjjjjjjjjjj-2উপজেলা যুবলীগের  কর্যক্রম চালাচ্ছেন আহবায়ক কমিটি দিয়ে যা কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ৩মাসের জন্য। এবং নেতা কমর্রিা নিস্কৃয়। সৃষ্টি হয়েছে দন্দ ও গ্র“পিং। শ্রমিক লীগেরও কিছুদিন আগে পুর্নাঙ্গ কমিটি দিয়েছে সন্মেলন ছাড়া জেলা কমিটি। কৃষকলীগের ও একই অবস্থা এবং কোন কার্যক্রম নেই বললে চলে। নামেই শুধু সভাপতি ,সাধারন সম্পাদক আছেন। নেই কোন পুর্নাঙ্গ কমিটি। সভাপতি অসুস্থ্য। ছাত্রলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় এর কার্যক্রম চলছে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক দিয়ে ঢিলে ঢালা ভাবে। এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা হতাশ।মৎসজীবি লীগের কমিটি থাকলেও কোন কার্যক্রম নেই।

স্বেচ্ছাসেবকলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি দীর্ঘ দিন পর অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটি।তারা বর্তমানে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড গুলোর মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি ভেঙ্গেদিয়ে নতুন কমিটি গঠন করছে।তাছাড়া শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবি লীগের পৌরসভা,ইউনিয়ন,ও ওয়ার্ড কমিটিও নেই।এবং তাদের নিজস্ব সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। আর যারা আছেন তারাও নিরব।অন্যদিকে পৌরসভা,ইউনিয়ন,ও ওয়ার্ড কমিটি গুলোর সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না।বর্তমান সরকারের সময়ে স্বজন প্রীতি,ভাগভাটোয়ারা সহ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও যথাসময়ে সম্মেলন না করার কারনে ক্ষোভ-হতাশার মধ্য থেকে অন্তর্দ্বন্দের ও কোন্দলের সৃষ্টি হলেও নেতারা আখের গোছাতে ব্যাস্ত হওয়ায় ্দলীয কার্যক্রমে ব্যায় করার মত সময় তাদের হয়না।

এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারাও একই ধরনের  কার্যক্রমে ব্যাস্ত হওয়ায়  সংগঠন ও তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ ও দিকনির্দেশনা না থাকায় সৃস্টি হয়েছে দুরত্ব, কোন্দল ও চাপা ক্ষোভ । আর এই দুরত,কোন্দল ও চাপা ক্ষোভ থেকে জন্ম নিতে পারে সংঘাতের।তাই যত তারাতারি সম্ভব সন্মেলন কওে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করার দাবী জানান তৃনমূল নেতৃবৃন্দ।