• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

জয়লাভের লক্ষ্যেই তৃণমূল বিএনপির মার্কায় ভোট করছি


প্রকাশিত: ৫:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোট করে সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে ভোট করবে প্রগতিশীল ইসলামী জোট। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের সাক্ষরিত একটি চিঠি কমিশনে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভের লক্ষ্যেই আমরা তৃণমূল বিএনপির মার্কায় ভোট করছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মানুষ এখন আর পেছনে ফিরে তাকাতে চায় না, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ধরে রাখতে চায়, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চায়। আমাদের লক্ষ্যও সেটাই।লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা ১৫টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে আত্মপ্রকাশ করি প্রগতিশীল ইসলামী জোট হিসেবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছি দেশের পক্ষ্যে উন্নয়নের পক্ষে কাজ করার জন্যে।

তৃণমূল বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, প্রগতিশীল ইসলামী জোট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের সকল প্রার্থীগণ তৃণমূল বিএনপির দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ প্রতীকে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রগতিশীল ইসলামী জোটের প্রার্থীগণ তৃণমূল বিএনপি’র সোনালী আঁশ প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

প্রগতিশীল ইসলামী জোটের দলগুলো হলো- ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক দলগুলোকে শনিবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে জানাতে বলেছে ইসি। তার অংশ হিসেবে জাসদ তাদের অবস্থান জানিয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।