জনতা ব্যাংকের ৫ জিএম’য়ের আড়াইশ কোটি টাকা লুটপাট
এস রহমান : আমদানি-রপ্তানির নামে ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার তদন্তে জনতা ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেকসহ মোট পাঁচ মহাব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন, জনতা ব্যাংকের জিএম (মহাব্যবস্থাপক) মো. নজরুল ইসলাম, মো. নাজিম উদ্দিন, ডিজিএম মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক জিএম মো. নুরুজ্জামান ও দাউদ আহমেদ শিকদার।
দুদক সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ (জিএম) পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদক উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নম্বর ২২) দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলে মো. টিপু সুলতান। পরে সেই এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এই কোম্পানির হিসাব নম্বরে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করে।
পরে সেই স্থানান্তরিত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংকে থেকে তুলে আত্মসাৎ করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের জিএম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক এজিএম শামীম আহমেদ খান, জনতা ব্যাংক লোকাল অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মশিউর রহমান, লোকাল অফিসের সাবেক ম্যানেজার এ এস এম জহিরুল অফিসার এবং মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের মালিক মো. টিপু সুলতান।