• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

জনতার প্রতিশোধ বনাম নিরব প্রতিশোধ-রায় মিলবে ২৮ এপ্রিল


প্রকাশিত: ১২:৫১ এএম, ২৭ এপ্রিল ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১০ বার

pm hasina-www.jatirkhantha.con.bd----......
আসমা খন্দকার.ঢাকা: জনতার প্রতিশোধ বনাম নিরব প্রতিশোধ-রায় মিলবে ২৮ এপ্রিল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যদি দেশের মানুষ প্রতিশোধ নেয় তিনি কোথায় যাবেন? অন্যদিকে খালেদা জিয়া বলেছেন, তিন সিটি নির্বাচনে নিরব প্রতিশোধ নেয়ার।বল এখন সাধারন মানুষের কোর্টে।রায় মিলবে ২৮ এপ্রিল।দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ভাবমূর্তি নষ্ট করার কারণে যদি দেশের মানুষ ‘প্রতিশোধ’ নেয় তিনি কোথায় যাবেন, সেটা তাঁর ভেবে দেখা উচিত।

ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে গণভবনে আজ রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী পেট্রলবোমায় মানুষ মারা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ভূমিকম্প এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। তবে ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও একজন সাংবাদিক ছাড়া কেউ এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি। সবার প্রশ্ন ছিল চলমান রাজনৈতিক অবস্থা, সিটি নির্বাচন, ৫ জানুয়ারির পর আন্দোলন প্রভৃতি নিয়ে।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামবাসীকে ‘নীরব প্রতিশোধ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের ফোনালাপ ও কংগ্রেসম্যানের সই নকল করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বিএনপি। সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘হত্যা’ ও ‘ক্ষতির’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইকে ঘুষ দিয়েছে বিএনপি নেতা, এটা ওই দেশে প্রমাণিত হয়েছে।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে পেট্রলবোমা মেরে ও বাসে আগুন দিয়ে তারা মানুষ মেরেছে। বোমা মারতে গিয়ে তাদের দলের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের হাতে গণধোলাই খেয়েছে। বোমা বানাতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেও উনি (খালেদা জিয়া) ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার কথা বলছেন। এর প্রতিশোধ যদি জনগণ নেয়, তিনি কোথায় যাবেন তাও ভেবে দেখা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, সিটি নির্বাচনে কেউ টাকা দিলে নেবেন, তবে ভোট দেবেন অন্য জায়গায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ নেওয়াটা উনি (খালেদা জিয়া) ভালো বোঝেন, অর্থ নেওয়া ও বেইমানি করা তাদের স্বভাব। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশকে ‘নরক’ বানিয়েছে।

খালেদার সম্মেলনে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’
খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ দিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজে ছিলাম তাই খালেদা জিয়ার পুরা বক্তব্য শুনতে পারি নাই, একটু শুনেছি। আমরা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে রোল মডেল করেছি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া যখন সরকারে ছিল, তখন মানুষ হত্যা ও রেপ হয়েছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করেছে। তখন দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের দেশ হয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ খালেদা জিয়া এখন সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে যাচ্ছেন।’

‘হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ খুন করবেন উনি (খালেদা জিয়া) আর এর দায়-দায়িত্ব সরকারের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের সময় পেট্রলবোমায় মানুষ নিহতের দায় সরকারের-খালেদা জিয়ার এ দাবির সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ খুন করবেন উনি (খালেদা জিয়া) আর এর দায়-দায়িত্ব সরকারের? পেট্রল-বোমাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের ইন্ধনদাতাদেরও ধরা হবে।’ তিনি সিটি নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর বাস মার্কা সম্পর্কে বলেন, ‘যে বাসে বোমা মেরে মানুষকে পোড়ালেন তিনি সেই বাস মার্কায় ভোট চান কি করে। হুকুমের আসামি হিসেবে অবশ্যই তার বিচার হবে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সমঝোতার জন্য খালেদা জিয়াকে করা ফোনের প্রসঙ্গে তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফোন করে মুখ ঝামটা আর যে ঝাড়ি খেয়েছি জীবনে আর কোনো দিন খাইনি। তিন ঘণ্টা আগে তাঁকে ফোন করে সময় নেওয়া হয়েছিল।’ আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি জানাতে তার কার্যালয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সহানুভূতি জানাতে গেলাম, দরজা বন্ধ করে আমাকে ঢুকতে পর্যন্ত দিল না।’

খালেদার নিরাপত্তাকর্মীরা হামলা চালায়
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতালের ক্ষতির কারণে কালো পতাকা নিয়ে ব্যবসায়ীরা কেউ দাঁড়ালে আপনি একে বলবেন ব্যবসায়ীরা প্ল্যাকার্ড দেখাল কেন? এর জন্য খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা অস্ত্র হাতে হামলা চালাল। তখনই সেখানে থাকা অন্যরা হামলা চালিয়েছে।’
তবে কারওয়ান বাজারে খালেদার জিয়ার গাড়িবহরে ‘জয় বাংলা’ বলে হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাজধানীর বাংলামোটরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের নিচে চাপা পড়ে একজন পথচারী আহত হওয়াসহ কয়েকটি ছবি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার পর কেউ এ খবর তো ছাপেন নাই। আপনারা শত শত ছবি তোলেন, কিন্তু এ সব ছবি তো প্রচার করেন নাই।’

গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার ঘটনা ঘটেছে কি?
বেসরকারি টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানতে চান কয়েক দিন পরে সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি-না।
এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ না করতে পারার মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে কি?
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার চ্যানেলে টক’শোতে আপনি কীভাবে আমাদের দোষগুলো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে দেখান সেটাও আমি মাঝে মাঝে দেখি।’

খালেদা নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করেছেন
নির্বাচনী আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। গাড়িবহর নিয়ে উনি ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। খালেদা ঢাকা সিটিকে দুই ভাগের সমালোচনা করে বলেন, এ জন্য তিনি হরতাল দিয়েছেন। নাগরিক সেবা বাড়ানোর জন্য আমরা তো ঢাকা সিটিকে আরও কয়েক ভাগে করতে চাই।

‘নীরব প্রতিশোধ’ নেওয়ার  আহ্বান-খালেদা জিয়ার

khaleda_zia-www.jatirkhantha.com.bd২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামবাসীকে ‘নীরব প্রতিশোধ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভোট অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরাট শক্তি। ভোট হচ্ছে জনগণের এক বিরাট ক্ষমতা। সঠিকভাবে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। নীরব বিপ্লব ঘটান। আপনারা কেউ ভয় পাবেন না।’

আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। নির্বাচনী প্রচারে নেমে জনগণের আবেগ, উচ্ছ্বাস দেখে অভিভূত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিএনপির এই নেত্রী বলেন, গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে গেছে। তাদের সব হিসাব পাল্টে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনের বড় অংশ জুড়েই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। নির্বাচনে পূর্ণ বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানান তিনি। সে সঙ্গে আরও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অবরোধ সক্রিয় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিটি নির্বাচন ‘টেস্ট কেস’
সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের পেছনে সাতটি কারণ ব্যাখ্যা করে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনকে ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে নিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি টেস্ট কেস হিসেবে নিয়েছে। এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না।
ভোট দিয়ে ফল বুঝে নেওয়ার আহ্বান

খালেদা জিয়া আরও বলেন, তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চান। তিন সিটিতে সরকার অবৈধ টাকা ছড়াচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে তার পরও সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অবৈধ টাকা ছাড়াচ্ছে দাবি করে খালেদা জিয়া ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওদের কাছ থেকে টাকা নিলেও ভোট বিক্রি করবেন না। টাকা নেবেন কিন্তু বিবেক অনুযায়ী ভোট দেবেন।’ তিনি ভোটারদের ভোট শেষে কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এবার নিজেদের স্বার্থেই বুঝে শুনে ভোট দিতে হবে। ভোটের ফল বুঝে নিতে হবে।’

শুধু ভোট দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভোট শেষে বিকেল থেকে পাহারা বসানোর জন্য আমি নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গণনা শেষে ফল বুঝে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। যাতে আপনাদের দেওয়া রায় ওরা বদলে ফেলতে না পারে।’ তিনি ভোটের দিন ও পরে কোনো ধরনের উসকানি ও গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

বিএনপি সমর্থিত তিন মেয়রপ্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের বলব দয়া করে পরিবর্তনের পক্ষে, শান্তির পক্ষে আপনার ভোটটি দিন।’
আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি

সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারের সময় গাড়িবহরে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান।
ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, বিনা ভোটে রাজকীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। এই দম্ভ ত্যাগ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান। খালেদা জিয়া বলেন, ‘মনে রাখবেন সব দিন সমান যায় না। এ পর্যন্ত যাই করেছেন তিন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হতে দিন। মনে রাখবেন এতে আপনার ক্ষমতা যাচ্ছে না।’ তিনি শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র ও সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আপনাকে সহিসালামতে নামতে সাহায্য করব এবং একই সমতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করব। মানুষ যাকে খুশি বেছে নেবে। সে পথটি অন্তত খুলে দিন।’
অবরোধ সক্রিয় নেই

সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রশ্নোত্তরপর্ব খালেদা জিয়া বলেন, অবরোধ ২০ দলের কর্মসূচি। তাঁরা দলের সদস্যদের সঙ্গে এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অবরোধ সক্রিয় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, পর্দার আড়ালে কোনো সমঝোতা হয়নি।

গাড়িতে বোমা হামলা ‘রহস্যজনক’
খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদে তাঁরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করেন। কিন্তু সেই কর্মসূচি চলাকালে যানবাহনে রহস্যজনক বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় অনেক নিরপরাধ মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সশস্ত্র পাহারা চলাকালে কীভাবে এসব হামলা হয়? তিনি বলেন, ‘হত্যা, নাশকতা সন্ত্রাস ও লাশের রাজনীতি আমরা করি না। সন্ত্রাস নির্ভর নষ্ট রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগ। মানুষ হত্যা করে তার দায় বার বার বিএনপির ওপর চাপানো হয়েছে। কিন্তু তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি।’ তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।