জনগণ ভোট ও ক্ষমতার মালিক-হাসিনা
নিউইয়র্ক থেকে ম. হামিদ : আমরা একটি কথাই বিশ্বাস করি- জনগণ ভোট ও ক্ষমতার মালিক। এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। সে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমরা যে কাজ করেছি তাতে যদি জনগণ খুশি হয় ভোট দেবে, না হয় দেবে না। তারা যে রায় দেবে তাই আমরা মেনে নেবো। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তার এ সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গা ইস্যু, জঙ্গিবাদ নিরসনে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সে বিষয়সহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ক্ষমতা দখলের রাজনীতি শুরু হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে। এরপর দল বানাল। সেই দল শিশু অবস্থায় জয়ী হলো। কীভাবে জয়ী হলো। ধীরে ধীরে আমরা এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলাম। এরপর আবার বিএনপি ক্ষমতায় আসে। আবার দীর্ঘ সাত বছর।
এরপর আবার আমরা সংগ্রাম করলাম। মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পেল। তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এই স্লোগান তো আমিই প্রথম দিয়েছি। আমার দলের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নিরপেক্ষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। বাজেটে আলাদা করে তাদের টাকাও আমরা দিয়ে দেই। আগামী নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে সেদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। অনেক ছোট ছোট বাচ্চা বাংলাদেশে চলে এসেছে। কেউ কেউ একাই চলে এসেছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক মহল যেন মিয়ানমারকে চাপ দেয়। মিয়ানমার যেন তাদের ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করে। নিরাপত্তা দেয়।
তিনি বলেন, কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট যেন বাস্তবায়ন হয় সেটিও আমি জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরেছি। তবে মিয়ানমারকে আমি বলতে চাই, কেউ যদি মিয়ানমারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের (মিয়ানমার সরকারকে) সহযোগিতা করব। কিন্তু তারা নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে যেন হত্যা না করে। নির্যাতন না করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যেকেই আমাদের সহযোগিতা করছে। অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে। প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারও সহযোগিতা করার কথা বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত অল্প জায়গায় এত মানুষ থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে সেখানে। আমরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের কাছাকাছি একটি দ্বীপ আছে। সেখানে আমরা যেন তাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে পারি সেই ব্যবস্থা করছি। সেখানে সাইক্লোন সেন্টার হবে। স্কুল হবে। যত দিন তারা ফিরে না যায় তত দিন পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করব আমরা।